ডাক ডেক্স : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বিজিবির অভিযানে ৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বিজিবি। রবিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বিওসি টিলা বিজিবি ক্যাম্পে নিলামে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের হিফজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ৩ লাখ ৫ হাজার টাকায় মহিষগুলো কিনে নেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৩৯২ মেইন পিলার থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার অভ্যন্তর দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারতীয় চোরাই মহিষের চালান নিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়ভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিওসি টিলা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাথারিয়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালায়। রাত ৮টার দিকে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে ৬টি ভারতীয় চোরাই মহিষ আটক করে। এর আগেই চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। আটক মহিষগুলোর সিজার মূল্য ধরা হয় ১২ লাখ টাকা।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিওসি টিলা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গজবাগ গ্রামের ছাদু মিয়ার বাড়ি থেকে ৪টি মহিষ আটক করে। একই সময় পৃথক অভিযানে আরও ২টি মহিষ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সমনভাগ বাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গজবাগ গ্রামের ছাদু মিয়ার বাড়ি থেকে আটকের সময় ছাদু মিয়ার মা উপস্থিত বিজিবি সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সামনে বলেন, ‘মহিষগুলো এনাম চেয়ারম্যানের ভাই এনে রেখেছেন’। তবে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নাম তিনি বলতে পারেননি। এদিকে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের মহিষ আটকের বিষয়ে ওই নারীর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে আলাপকালে রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাবা অসুস্থ্য। বাবাকে নিয়ে আমরা সিলেটে ছিলাম। মহিষ আমার ভাইয়ের হওয়ার প্রশ্নই আসে-না। আমার কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়তো ‘সম্মান হানি’ করতে আমার ভাইয়ের নাম ব্যবহার করে মহিষগুলো ওই বাড়িতে রেখেছে।’
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বিওসি টিলা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আটক ৬টি ভারতীয় চোরাই মহিষের সিজার মূল্য ১২ লাখ টাকা। রবিবার কাস্টমসের মাধ্যমে এগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।’