অনলাইন ডেস্ক :: বরখাস্ত হওয়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলররা মেয়াদ পূর্ণ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে চান। এর আগে সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন ও সব পৌরসভার কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করা হয়। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের এক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন। কাউন্সিলররা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে তৃণমূলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পৌর কাউন্সিলররা (সদ্য সাবেক) অঙ্গীকারবদ্ধ। কাউন্সিলররা কোনো দলের প্রার্থী নয়। অথচ মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে করেও এখনো বহাল আছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের একই আইন ও বিধিতে কাউন্সিলররা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আমরা বিধি মোতাবেক জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশান প্রত্যয়ন, নাগরিক প্রত্যয়ন, সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তিসহ অসংখ্য কাজ করে থাকি।
তারা আরও বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব পৌর কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকারি অফিসারদের দায়িত্ব দেয়। যদিও কাউন্সিলররা আইন ও বিধি মোতাবেক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত। আমাদের মেয়াদকাল শেষ না হতেই অপসারণ করা হয়। এ জন্য আমরা নির্বাচিত তারিখ হতে পূর্ণ মেয়াদকাল পর্যন্ত পুনর্বহাল রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। একই আইন ও বিধি মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ যথাবিহিত বহাল আছে। সে দিক থেকেও আমরা আমাদের মেয়াদকাল পর্যন্ত পুনর্বহাল রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কাউন্সিলররা জানান, আমরা জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ করি বিধায় আমাদেরকে নিছক মেয়াদকাল পর্যন্ত বহাল রাখা ও বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করার অনুরোধ করছি। এ জন্য তারা প্রধান উপদেষ্টাসহ স্থানীয় সরকার ও আইন উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু। প্রধান আলোচক ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মুন্না, বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম কিবরিয়া।