নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাহেবনগর এলাকায় সুমরা নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম তারেক মিয়া (৫৫)। তিনি সিলেটের আম্বরখানাস্থ ইলেক্ট্রিক সাপলাই এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে বাসা থেকে বের হন। পরে আর বাসায় ফিরে আসেননি। গত ৪ অক্টোবর নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ এবং ৫ অক্টোবর নিহতের একমাত্র সন্তান সুমা বেগম গণমাধ্যম থেকে জানতে পারেন তার বাবার লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল মর্গে চলে যান সুমা বেগম। কিন্তু এর আগেই লাশ দাফন হয়ে যায় সিলেট মানিক পীর টিলায়। বাবার জামা দুটি বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সুমা বেগমসহ আতœীয় সজনরা। নিখোঁজ পিতাকে খুঁজে না পেয়ে অবশেষে লাশ পাওয়া গেলেও শেষ দেখা টুকু হলনা।
সুমা বেগম জানান, তার পিতা একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার চলাফেরা উঠাবসা ছিল জালালাবাদ মটর ড্রাভিং অফিসে। সেখানকার লোকজন তাঁকে খুব ভালবাসতেন। সে আরো জানায় তার পিতা গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থতাবোধ করছিলেন। তাঁর মনের মধ্যে নানা ভয়ভীতি কাজ করছিল। আর গত মঙ্গলবার আম্বরখানা যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। ফিরলেন লাশ হয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেহ নগর এলাকায় সুমরা নদী থেকে এই ব্যক্তির উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয় লাশ।