নিজস্ব প্রতিবেদক::
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বনাথ নবগঠিত পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তার পরিষদের কাউন্সিলাররা অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন। ১০জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৭জন কাউন্সিলার অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন বলে একটি দায়ীত্বশীল সূত্রে জানিয়েছেন। এনিয়ে গত দুই দিন ধরে লোক মুখে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। মুহিবুর রহমান ইতিপূর্বে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদে দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনও করেছিলেন। কিন্তু এবার পৌর মেয়র হয়ে যে বিপদের সম্মুখিন হয়েছেন এমন বিপদ কোন দিন মোকাবেলা করতে হয়নি। অনাস্থা প্রস্তাবটি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে দাখিল করা হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানায়। পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতি, অসদাচারণ অর্থ আত্মসাৎ একই ব্যক্তিকে পৌরসভার ৩টি পদে নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ শুনা যাচ্ছিল। তিনি নিজ বাসায় গাম্য সালীশ বোর্ড গঠন করে বিচারের নামে নারী-পুরুষের ভিডিও চিত্র ধারণ করে লাইভ করায় দেশে বিদেশ চরম বিতর্কিত হয়ে পড়েন। কিছু দিন পূর্বে জানাইয়া গ্রাম এলাকায় একটি ড্রেইন পরিদর্শনে গিয়ে কিছু জমির সীমানা নিয়ে অনর্থক কঠুক্তি করায় তার বিরুদ্ধে লাইভ করা হয়েছে। টোকাই প্রকৃতির দু’একজন কাউন্সিলার দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ থাকায় অন্য কাউন্সিলাররা চরম ক্ষুদ্ধ ছিলেন। কাউন্সিলার ফজর আলী জানান, অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি তার জানা নেই। বক্তব্যের জন্য তিনজন কাউন্সিলারের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশ্যে একজন কাউন্সিলার নিশ্চিত করে জানিয়েছেন তারা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন এবং ঢাকায় সচিব বরাবরেও দাখিল করা হবে।