নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথে কোন প্রকার জাতীয় দিবস ছাড়াই উর্ধতন এক কর্মকর্তার আগমনের সুযোগে থানার অভ্যন্ততে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (ডান্স গান-বাজনা), নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্র (লটারী)। শনিবার সন্ধ্যায় নানা সাজে অনেকটা রাজকীয়ভাবে থানার প্রধান গেট বন্ধ করে এর আয়োজন করা হয়।
এসময় থানার ভেতরে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিক করে একাধিক স্পিকার স্থাপন করে নারী-পুরুষ গান পরিবেশন করেন। থানা কম্পাউন্ড থেকে অনুমান দেড়শ মিটার দূরে বাসিয়া নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত জামিয়া ইলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসা, জামেয়া মোহাম্মদীয়া আরবিয়া মাদরাসা, দারুল উলুম ইসলামীয়া কামিল মাসরাসা, শহীদ গুলজারে আলম হাফিজিয়া মাদরাসা, বিশ্বনাথ মহিলা মাদরাসা রয়েছে। উচ্চ বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিশৃংখলা এড়াতে শিক্ষকরা উত্তেজিত ছাত্রদের মাদ্রাসার প্রধান গেট বন্ধ করে বের হতে দেননি।
মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মাওলানা ফাহিম আহমদ জানান, উচ্চসুরে গান বাঝনার আওয়াজে মাদরাসার হিফজ খানায় ছাত্রদের পড়ায় ব্যাঘাত ঘটায় ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে আমরা শিক্ষকরা গেট বন্ধ করে ছাত্রদের নিয়ন্ত্রনে আনি। তবে এর কিছুক্ষণ পর থানার গান বাজনা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন রাতে উচ্চ আওয়াজে গান বাজনা হয়ে থাকে। এতে হাটের রোগী শিক্ষার্থীসহ জনসাধারন মারাত্বক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশ্বনাথ উপজেলায় ব্যাপকহারে ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। এক শ্রেণীর লোক সংবর্ধনা, দোয়া মাহফিলের নামে নাচ গান, মেলা, জোয়া ও মাদক কেনা-বেচা করে থাকে। এতে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নানা ভাবে নষ্টের দিকে আসক্ত হচ্ছে। সুশীল সমাজ ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবি, এবস অসামাজিকতা ও অশ্লীলতা পরিহার করে দ্বীনি প্রতিষ্ঠা কায়েম করতে হবে। অন্যতায় নানা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে
এবিষয়ে থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি তিনি জানেন না। আর নির্বাচনের পর জেলার প্রতিটি থানায় ফোর্স ও অফিসারদের আনন্দ দিতে এই আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বনাথ থানায়ও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান।