নিজস্ব প্রতিবেদক : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সিলেটের বড় বড় চোরাচালানিদের নিরাপদ রোড হচ্ছে বিশ্বনাথ। বলা যায়, এ উপজেলা এখন চোরা চালানিদের স্বর্গরাজ্য। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সন্ধার পর থেকেই গরু, চিনি, পেয়াজ, কাপড়, এলাচি ও কসমেটিক্সসহ হরেক রকমের পণ্যবাহী ট্রাকের বহর চলা শুরু হয়। এর মধ্যে সুযোগে ছোট ছোট পরিবহনে মদ, গাজা, হিরোইন, ইয়াবা বিভিন্ন স্থানে বা পয়েন্টে পয়েন্টে চিহিৃত কারবারিদের নিকট পৌছে দেয়া হয়। এ ব্যবসা এখন একে বারে অপেন-সেক্রেট। সমাজের দর্পন, রক্ষকসহ ভদ্রবেশি সকলেই মাসিক মাসোহারা ভাগ নিয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি বা গাড়ি আটকের ঘটনা ঘটে।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি থেকে রামপাশা বিশ্বনাথ এবং রশিদপুর-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে বড় বড় চালান আসার পর বিভিন্ন পয়েন্টে আন লোড করে ছোট ছোট পরিবহনে বিভিন্ন হাট বাজারে প্রেরণ করা হয়। বিশ^নাথ নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, বৈরাগী বাজার, পীরের বাজার, সিংগেরকাছ বাজার, লামাকাজি, হাবড়া বাজারে চোরা চালানি পণ্যে সয়লাব। প্রশাসনের কেউ কেউ বলে থাকেন দ্রব্য মূলের দাম যেমন বেড়েছে, চোরাচালানি পণ্য হওয়ায় মানুষ অনেকটা স্বস্থিতে আছেন।
প্রায় ২মাস পূর্বে বিশ্বনাথ রামপাশা সড়কের নতুন বাজার এলাকায় ৩/৪টি চোরাচালানি পণ্যবাহী ট্রাক বিশ্বনাথ বাজারে ঢুকলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু লোক একটি ট্রাক আটক করে পার্শবর্তী গ্রামে নিয়ে যায়। এনিয়ে দুই পক্ষে মারামারি হলে থানায় মামলাও দায়ের করা হয়। চোরাচালানি পণ্যের মালিক জাল কাগজ পত্র দিয়ে সকলকে ম্যানেজ করে এ পণ্য বৈধ দাবি করে মামলা দায়ের করে।
গতকাল সোমবার সন্ধা রাতে উপজেলার সরোওয়ালা গ্রাম এলাকার স্থাণীয় জনতা চোরাচালানি পণ্যের একটি পিকআপ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু এমন ঘটনায় থানা পুলিশ চরম বিব্ররত ও নাখোশ ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে থানায় গেলে একজন সাংবাদিকের সাথে ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তির চরম বাক বিতন্ডা হয়। তিনি উক্ত সাংবাদিককে বলেন, বার বার ফোন দিলে আপনার ফোন আমি ধরতে বাধ্য নয়। কিন্তু চোরাচালানি পণ্যের আটকের বিষয়ে যে কোন নিউজে পুলিশের বক্তব্য আবশ্যক হয়ে পড়ে। এই বাক বিতন্ডার পর সাংবাদিকরা থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে থানার এসআই অমিত সিংহ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং-৭), তারিখ-১৯/০৩/২০২৪ইং।