স্টাফ রিপোটারঃ বর্তমান সময়ে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ডলের পানিতে বিশ্বনাথ উপজেলার প্রখ্যাত চাউলধনী হাওরের বাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকের আশংকা করছেন কৃষকরা। নদী থেকে খাল দিয়ে পানি ঢুকে বাধ ছুয়ে পানি হাওরে প্রবেশ করছিল। খবর পেয়ে আজ ৬ এপ্রিল বুধবার হাওর পারের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা মাটি কেটে বাধ উচু করছেন। আজ সকালে চাউলধনী হাওর রক্ষা পরিষদের আহাবায়ক আবুল কালাম বাধ ভেঙ্গে হাওরে পানি ঢুকার আশংকা করে মোবইলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ায় কৃষকরা জমায়েত হয়ে মাটি কাটা শুরু করেন। এ রির্পোট লেখাবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চাউলধনী হাওরে সমগ্র বাংলাদেশের ৩ দিনের খাদ্য উৎপাদন হয় বলে অতীত ইতিহাস রয়েছে । কিন্তু গত ২ দশক ধরে হাওরের লীজ ও সাবলীজ গ্রহিতার কারনে কৃষকরা পানির অভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। চলতি বছর সাবলীজ গ্রহিতা সাইফুল ও তার বাহিনী ডাবল মার্ডারের কারনে জেলে থাকায় হাওরের পানি ছেড়ে দিতে পারেনি। ফলে কৃষকরা বিপুল পরিমান জমি ইরি-বোর ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন। বানের পানিতে ফসল ডুবিয়ে না গেলে এবার বামপার ফলন হবে বলে আসা করা যাচ্ছে। ইতি মধ্যে হাওরের উপরিভাগের জমির ধান আধা পাকা হয়ে গেছে। কিছুদিন পর ধান কাটতে পারলেই কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। জরুরী ভিত্তিতে হাওরের ফসল রক্ষার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।