নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত-সমালোচিত সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে দায়েরী অভিযোগের তদন্ত আগামী সোমবার (৭ মার্চ) সমবায় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সুনামগঞ্জ জেলা সমবায় কর্মকর্তা বশির আহমদ এ অভিযোগের তদন্ত করবেন। তিনি গত ৩ মার্চ অভিযোগকারীদের নামে নোটিশ দিয়ে তদন্তকাজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদার বিশ্বনাথে যোগাদানের পূর্বে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাবেক সাংসদ প্রয়াত মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েছ উর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করলে তাকে বিশ্বনাথে বদলী করা হয়। বিশ্বনাথ যোগদানের পর পূণরায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি জড়িয়ে পড়লে সাবেক সাংসদ ইয়াহিয়া চৌধুরীও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলে তিনি অভিযোগটি ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন।
এদিকে, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ নামে একটি অকার্যকর সমিতিকে সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী তালুকদার যোগ্য সমিতির প্রত্যয়নপত্র দিয়ে চাউলধনী হাওর জলমহাল গ্রুপ নিলামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেন এব্ং এই সমিতি ১৭৮.৯৮ একর খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি জলাশয় লীজ নিয়ে প্রায় ৫/৬হাজার একর কৃষকের ভূমিতে তান্ডব চালায় সাবলীজ গ্রহিতা সাইফুল ও তার বাহিনী। ফলে এই হাওরে সাবলীজ গ্রহিতারা কৃষক ছরকুম আলী দয়াল ও স্কুলছাত্র সুমেলকে খুন করে। অভিযোগকারীরা জানান, সমবায় কর্মকর্তা কৃষ্ণ রাণী তালুকদারের পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষ সহযোগিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল সাইফুল ও তার বাহিনী। কৃষ্ণা রাণী তালুকদারের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা মন্ত্রী, সমবায় মন্ত্রী, সচিব সহ বিভিন্ন দপ্তর অভিযোগ দায়েরের পর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, উপজেলা সদরে এই সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছিল।
কৃষ্ণা রাণী তালুকদার নেত্রকোনার বাসিন্দা হলেও তথ্য গোপন করে সিলেটের শেখঘাটের বাসিন্দা হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুই বৎসরের জন্য তার ইনক্রিমেন্ট স্থগিতা করার প্রমানাধিও অভিযোগকারীদের হাতে রয়েছে বলে চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক ও বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম জানান।