বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনের ১২কেন্দ্রের ভোট গণনার দাবিতে ট্রাইব্যুনালে মামলা

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের গত ৮মে’র নির্বাচনে গেজেট বাতিল করে ১২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট পূণঃগননার দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারি দোয়াত কলম প্রর্তীকের প্রার্থী সেবুল মিয়া গত ৩জুন সিলেটের যুগ্ম জেলাজজ প্রথম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করেন। (মামলা নং-০১/২০২৪ইং)।

মামলায় চেয়ারম্যান পদের ৯জন প্রার্থী, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারি রিটানিং অফিসার স্বর্ণলী চক্রবর্তী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানসহ ২৩জনকে বিবাদী করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩এর ৫, ৭ (৩) ধারার বিধানমতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় সেবুল মিয়া, তাজুল ইসলাম, পিতা মৃত ইনসান আলী সাং কাশিমপুরকে আমোক্তারের দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। তিনি নোয়ারাই সর: প্রা: বিদ্যালয়, কান্দিগাঁও সর: প্রা: বিদ্যালয়, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভোট কেন্দ্র, নোয়াগাঁও সর: প্রা: বিদ্যালয়, আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মীরেরচর (১) সর: প্রা: বিদ্যালয়, বিশ^নাথ ডিগ্রি কলেজ, লামাকাজি সর: প্রা: বিদ্যালয়, চন্দ্রগ্রাম সর: প্রা: বিদ্যালয়, সিংরাওলী সর: প্রা: বিদ্যালয়, দৌলতপুর সর: প্রা: বিদ্যালয়, দিঘলী সর: প্রা: বিদ্যালয় এ ১২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট পূণঃগননার দাবি করেন।

আবেদনে সেবুল মিয়া বলেন, ১নং প্রতিপক্ষ সুহেল চৌধুরী (বিজয়ী) প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে ভোটাররা নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কিন্তু ১২নং নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১২টি কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ২নং প্রতিপক্ষ (আনারস) প্রর্তীকের গিয়াস উদ্দিন বন্দুকধারি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ৮মে ভোর ৫টায় বেআইনিভাবে কেন্দ্রে জোর পূর্বক অনুপ্রবেশ করে প্রিজাইডিং অফিসার বিল্লাল হোসেনকে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আনারস প্রর্তীকে সীল মেরে জোর পূর্বক বেলটবাক্সে ঢুকাইয়া দেন। সন্ত্রাসীরা ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টি করে আবেদনকারির নিশ্চিত বিজয়কে আটকে দেন।

বিষয়টি রিটানিং অফিসার প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নোয়ারাই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিভিন্ন অনলাইন নিউজ ও লাইভে কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ করেন। এ কেন্দ্রেসহ মোট ১২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গননা করলে সেবুল মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে দাবি করেন। তিনি ১৪মে প্রকাশিত গেজেটকে বেআইনী ও যোগাযোগি দাবি করে এ গেজেট বাতিল করে আবেদনকারিকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনার দাবি জানান।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *