নিজস্ব প্রতিবেদন: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার যে কোন উন্নয়ন মূলক কর্ম কান্ডে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। লোকজন প্রতিবাদ আপত্তি করলে কোন ব্যবস্হা নেয়া হয়না। বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি সড়কে সংস্কার বা রিপিয়ারিং এর কাজ করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ষাট লাখ টাকা। বিশ্বনাথ থেকে লামাকাজি পর্যন্তসড়কে ১৩’৫৫ কিলোমিটার সীলকোট রিপিয়ারিং এবং দেবে যাওয়াঅংশ মেরামত করা হবে ৩৮০ মিটার।
গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে সড়ক ঘুরে দেখা যায় যেখানে পূর্বে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়ক নষ্ট হয়ে গিয়ে ছিল,সেখানে সামান্য প্লাস্টার করে রাখা হয়েছে। সড়কে১২ মিলি কার্পেটিং করার কথা থাকলেও সর্বোচ্চ ৪মিলি কার্পেটিং করা হচ্ছে। মেরামত কাজে ফাইভ-টেন কাটা পাথর ব্যবহারের কথা থাকলেও রাস্তার পাশে সিঙ্গেল পাথর দেখা যায়। কার্পেটিং নামমাত্র ভিটুমিন(গালা) ব্যবহার করা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি পাত হলেই সড়কে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যাবে। স্হানীয় জনসাধারনের অভিযোগ কাজের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করলে একটি সিন্ডিকেট তা মিটমাট করে দেয়। একটি দায়িত্বশীল সূত্র মতে,একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ পেলেও সাব কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তি। তিনি কিছু লোকের সহায়তায় তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন।
বিশ্বনাথ- রামপাশা-লামাকাজি সড়কের সংস্কার কাজের এসও আব্দুল আল কবীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।তিনি অবশ্য বলেছেন সিডিউল মোতাবেক কাজ আদায় করে নিবেন। বুধবার তিনি সরজমিনে গিয়ে নিম্নমানের পাথর দিয়ে কাজ করার কারনে কাজ বন্ধ রাখেন এবংসিডিউলের পাথর দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।
স্হানীয়, আঞ্চলিক রাস্তার কাজে প্রায়ই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেন জনগণ। রামপাশা- সিংগেরকাছ,বিশ্বনাথ- জগন্নাথপুর রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বনাথ -ওসমানী নগর এলাকার সাংসদ মোকাব্বির খানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারেননি।