স্টাফ রিপোর্টার : ৩৫ হাজার টাকা ও জুয়ার সরঞ্জাম সহ হাতে নাতে ধরার পরও ৬ জুয়াড়িকে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। পুলিশের এমন কান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার রাত অনুমান ৮টার দিকে শরিষপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলার শরিষপুরস্থ ফারুক মিয়ার কলোনিতে, ট্রাক ড্রাইভার আবু তাহেরের রুমে জুয়া খেলা চলছিল। বিষয়টি ওই এলাকার সচেতন মহলের নজরে পড়লে তারা এক যুবলীগ নেতার স্মরনাপন্ন হন। যুবলীগ নেতা বিষয়টি বিশ্বনাথ থানার এসআই রিগানকে জানান। এসআই রিগান খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়া খেলার বোর্ড থেকে জুয়ার সরঞ্জাম ও ৩৫ হাজার টাকাসহ ৬ জুয়াড়িকে আটক করেন। জুয়াড়ীদের আটকের পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে জুয়াড়িদের তদবিরে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬ জুয়াড়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জুয়াড়ীরা হচ্ছেন, পূর্বচানসীর কাপন গ্রামের, মৃত আব্দুল্লার পুত্র নুর ইসলাম, একই গ্রামের মৃত ছমছু মিয়া (বান্দর) এর পুত্র রাজন আহমদ, মন্ডলকাপন গ্রামের তৈমুছ আলীর পুত্র সিরাজ আলী, হরিকলস গ্রামের আক্তার হোসেন, শরিষপুর গ্রামের মৃত স্বপন মিয়ার পুত্র মোক্তার হোসেন ও ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ি আব্দুল কুদ্দুস।
এ ব্যাপারে এস আই রিগানকে টেলিফোনে কয়জন জুয়াড়ী আটক করেছেন জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে, সাক্ষাতে আলাপ হবে এ কথা বলে ফোন কেটে দেন। সাবেক মেম্বার নুর মিয়া জানান, জুয়া খেলার আসরে পুলিশ হানা দিবে এমন খবরে অনেক লোক জড়ো হয়। কিন্তু ৬ জনকে হাতে নাতে আটক করা পর ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়ায় এলাকায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জনেন না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।