বিশ্বনাথে ৪৯কোটি টাকার নলকূপ স্থাপনের দূর্ণীতিতে ডুবেছেন নুনু মিয়া

অপরাধ বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭৭২টি অত্যাধুনিক গভীর নলকূপ স্থপনের জন্য প্রায় ৪৯কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দের বিপরীতে একটি তালিকা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হলে তালিকাভুক্ত নলক‚পগুলো স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়। ১০-১৫টি গরিব পরিবারের জন্য একটি নলকুপ বরাদ্দের কথা থাকলেও ধনী ব্যক্তিদের বাসার ভেতরে ও জনমানবহীন স্থানেও চেয়ারম্যান নলক‚প স্থাপন করেছেন। নুনু মিয়ার বাড়ির পাশে বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর সড়কে তার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পাকা সড়কে একটি নলক‚প স্থাপন করেছিলেন।

এসব নলক‚প বরাদ্দের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার কথিত পিএস দবির মিয়া ও অফিস সহকারি সফিক ও ষাট মুদ্রাকারিক কিবরিয়া ও অন্যান্য কর্মচারিদের তত্বাবদানে একটি সিন্ডিকেট গঠন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিটি নলক‚প বরাদ্দের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ২হাজার লোকের নিকট থেকে ৫০হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়। উপজেলার যে কোন গ্রামে গেলেই নলক‚প বরাদ্দের নামে ঘুষের টাকা গ্রহনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন লোকজন। এসব নলক‚পে অত্যাধুনিক দুটি বাথরুম, পানির ট্যাংক, ৭-৮শ ফুট গভীরে ৩টি করে ফিল্টার দিয়ে আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ব পানি সবরাহের কথা। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘জে কে’ পরিমার ও স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের দুর্নীতিবাজদের সহায়তায় মন্ত্রনালয়ের অনুমোদিত তালিকার বাইরে নলকুপ বসিয়ে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার এমন সাগর চুরির ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে নুনু মিয়া প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও নলকুপ দূর্নীতির ভয়ে তিনি মনোনয়ন দাখিল করেননি। প্রায় বছর খানের তিনি নিয়মিত অফিসে আসা যাওয়া না করে এক ধরনের আত্নগোপনে ছিলেন।

মন্ত্রনালয়ে অনুমোদিত নলক‚পের তালিকা কর্তন করে ৮২টি নলক‚প অনুমোদন ছাড়াই স্থাপন করেন। ইতিমধ্যে ৬৯০টি নলক‚প স্থাপন করেছে বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাসেল ভূইয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মন্ত্রনালয়ের তালিকা পরিবর্তন করে উপজেলা চেয়ারম্যান একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তালিকা দিয়েছেন।

সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া বলেন, ৪৯কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও ১কোটি টাকা আমার এনতেন খরচ হয়েছে। নুনু মিয়ার অর্থ উপর্যনকারি পিএস দবির মিয়া লোক জনের তোপের মুখে পড়ে ৬মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী জানান, শপথ গ্রহনের পর থেকে নলক‚প বরাদ্দের নামে ঘুষ প্রদানের অভিযোগকারিরা নলকূপ পাওয়ার জন্য উপজেলায় এসে ভীড় জমাচ্ছেন। এমন অভিযোগ পেয়ে কিছু নলকুপের কাজ স্থগীত রাখার জন্য প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি। সঠিক লোকজন বিধি মোতাবেক নলকুপ পেয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। নুনু মিয়ার নলকুপ দূর্নীতির ঘটনা এখন টক অব দি সিলেট।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *