বিশ্বনাথে ১৩ হাজার ১শ কিশোরী পাবে এইচপিভি টিকা

বিশ্বনাথ সিলেট স্বাস্থ্য
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। আগামী ২৪ অক্টোবর শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। উপজেলার ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এই টিকা দেয়া হবে। সোমবার (২১শে অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স মিলনায়তনে হাইস্কুল ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা বিষয়ক সেমিনার এ সব তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন সুমন।

তিনি বলেন, বিশ্বনাথে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা পাবে ১৩ হাজার ১৩২ কিশোরী। অধিক কিশোরীকে এ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।

উপজেলার প্রতিটি হাইস্কুল ও মাদরাসাসহ মোট ৪৩২টি কেন্দ্রে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী (এইচপিভি) টিকার আওতায় আসবে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ দিন এবং ইপিআই কেন্দ্রে ৮দিন টিকা প্রদান করা হবে। জরায়ুমূখে ক্যান্সার প্রতিরোধী এ টিকাটি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সহজে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। উপজেলার ১৩ হাজার ১শত ৩২ জন কিশোরীকে টিকা গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকায় এখন পর্যন্ত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। উপজেলার সকল স্তরের কিশোরীগণকে টিকা গ্রহণ বাস্তবায়নে সচেতনতা তৈরি ও সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসজনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এ রোগ বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুত্বে দ্বিতীয়। কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।

আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ১৮ কর্মদিবস এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে কিশোরীদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর। শুধুমাত্র নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত কিশোরীরাই বিনামূল্যে এ টিকা পাবে।

এইচপিভি টিকা পাওয়ার যোগ্য ছাত্রী বা কিশোরীরা নিজেদের উদ্যোগে অথবা বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধনের পর ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পিং থেকে এবং যারা অধ্যায়নরত নয় তারা নিকটস্থ টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।

এইচপিভি টিকা দেয়া শেষ হলে টিকা কার্ডটি যতœ সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। ভবিষ্যতে বিদেশযাত্রাসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা এবং টিকা পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ টিকা কার্ডটি প্রয়োজন হতে পারে বলেও সভায় জানানো হয়। সেমিনারে উপজেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা প্রধান, স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *