বিশ্বনাথে ১মাসে ১২ ট্রান্সফরমার চুরি

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যাপকহারে চুরি হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর। আর এসব ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার পর বিদ্যুৎ সেবা পেতে গ্রাহকরা তাদের পকেটের অর্থ দিয়ে কিনে নিতে হচ্ছে ট্রান্সফরমার। এতে অনেক গরীব ও দিনমজুর গ্রাহকদের চরম ভোকান্তি পোহাতে হয়। প্রথমবার বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হলে ‘ট্রান্সফরমারের’ অর্ধেক মূল্য বহন করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। আর যদি দ্বিতীয়বার চুরি হয় তাহলে ট্রান্সফরমারের পুরো মুল্য দিতে হয় গ্রাহকরা। এ যেন এক মরার উপর খাড়ার ঘা।
গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস এলাকায় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে ট্রানন্সফরমার চুরি। প্রতিমাসে ৮থেকে ১০টি ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে। গত জুলাই মাসে ১২টি ট্রান্সফরমার চুরির তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বনাথ পৌসভার আলাপুরে ১টি, কামালপুর টাওয়ারের ৩টি, পূর্ব রোকনপুর ১টি, কোনারাই টাওয়ারের ৩টি, পূর্ব কালিজুরি ১টি, একই রাতে টেংরা গ্রামে ২টি ও খাজাখালু খালপাড় ১টি। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারের কেবি অনুযায়ি যার মূল্য প্রায় ৪লাখ ৫৮হাজার ৩৭৯ টাকা। তবে এসকল ট্রান্সফরমার চুরির সাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন জড়িত রয়েছে বলে দাবি করছেন সচেতন মহল।
এদিকে ৩১জুলাই দিবাগত রাতে পৌরসভার আলাপুর গ্রামের সাড়ে ৩ কেবি ভল্ডের একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। যে ট্রান্সফরমারের মুল্য হচ্ছে ১লাখ ৫৬হাজার ৮৬৪টাকা। প্রথম বার চুরি হওয়ায় পুরো মুল্যের অর্ধেক ৭৮ হাজার ৪৩২টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে এই গ্রামের গ্রাহকদের। এই টাকা জোগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীর।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম আব্দুল্লাহ সিকদার বলেন, তাদের অফিসের আওতায় প্রায় ৫২হাজার গ্রাহকের জন্য ২হাজার ৩শ টি ট্রান্সফরমার রয়েছে। এসব ট্রান্সফরমার প্রতিনিয়িত চুরি হওয়ায় তারা অনেকটা হতবাক হয়ে পড়েছেন। তিনি ধারনা করছেন, চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার গুলো ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। আর ট্রান্সফরমার চুরি হলে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ি এর মূল্য গ্রাহকদের বহন করতে হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *