স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন। পহেলা ডিসেম্বর হাইকোটের একটি বেঞ্চ শুনানী শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন, (টেন্ডার নং-৪১৫২৩/২০২০ইং)। মহামান্য হাইকোট থেকে জামিনের আদেশ সিলেট কারাগারে পৌছানোর পর তিনি মুক্তি লাভ করতে পারেন। চেয়ারম্যান রুহের তার ইউনিয়নের কনুকোপা গ্রামের জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি হাজি মখলিসুর রহমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। মামলা দায়েরের পর তিনি মহামান্য হাইকোটে আগাম জামিনের আবেদন করলে ৪২ দিনের সময় দিয়ে সিলেট জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। গত ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যান রুহেল সিলেট জেলা জজ আদালতে হাজির হলে শুনানী শেষে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ৪৯দিন জেল হাজতে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। চেয়ারম্যান রুহেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলাসহ কয়েকটি মামলা আদালতে চার্জশীট দাখিলের পর বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মখলিস আলীর স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানান, আমরা শুনেছি রুহেলের হাইকোর্টে জামিন হয়েছে। আমার চেয়ারম্যানের ভয়ে পরিবার নিয়ে আতংঙ্কের মধ্যে আছি। বাদি পক্ষের আইজীবি শাহ মোসাহিদ আলী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: আলতাব আলী একটি চেক ডিজনার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। গত ১৬ নভেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমিনুন নেছা তাকে খাঁলাস প্রদান করেন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর চেয়ারম্যান রুহেলের প্ররোচনায় জনৈক ব্যক্তি মেম্বার আলতাব আলীর বিরুদ্ধে একটি চেক ডিজনার মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আদালত এক রায়ে মেম্বার আলতাব আলীকে ৫মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ২লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় দিয়ে আলতাব আলীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আলতাব আলী আপিল করে জামিনে মুক্তিলাভ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান রুহেল আদালতের রায়ের বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় আলতাব আলীকে প্রথমে সাময়িক ও পরে চুড়ান্তভাবে মেম্বার পদ থেকে বহিস্কার করে তার ওয়ার্ডে নির্বাচনের তফসীল ঘোষনার নির্দেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধেও আলতাব আলী মহামান্য হাইকোর্ট আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট তার বহিস্কারাদেশের নির্দেশ স্থগিত ঘোষনা করেন। নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর বিধান মতে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বহিস্কারের আবেদন করলেও এবং তিনি ৪৯ দিন জেলে থাকাবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।