ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল গ্রামের আয়ফুল বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটনে ২৮ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ (২সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফাতেমা তুজ জোহরার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেবাষিশ শর্মা। গত ৪আগষ্ট আয়ফুল বেগমের লাস দাফন করা হয়েছিল।
বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, ৪ সন্তানের জননী আয়ফুল বেগমকে নুর উদ্দিন নামক এক ঘাতক ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ও শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করে ঘরের দরজা-জানালা লাগিয়ে বের হয়ে যায়। আয়ফুল বেগমের আত্মীয় স্বজনরা প্রথমে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মনে করে লাশ দাফন করেন। কিন্তু আয়ফুল বেগমের ঋনের ১ লক্ষ টাকা খুজে না পেয়ে এবং ঘাতক নুর উদ্দিনের আচার আচরনে সন্দেহ হলে তাকে ব্যাপক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও চাপ সৃষ্টি করা হয়। আয়ফুল বেগমের ভাই হাজি মখলিস আলী ও ইলিয়াস আলী এতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। এক প্রর্যায়ে নুর উদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার করে এবং পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় আয়ফুল বেগমের দুই ভাইসহ আত্মীয় স্বজনরা থানায় আসেন। ঐদিন পুলিশের এসআই দেবাষিশ দিবাগত রাতে হাজি মখলিস আলীর ঘরে গিয়ে তার মেয়ের নিকঠ থেকে ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে আসে। পরদির আয়ফুল বেগমের মেয়ে নাছিমা বেগম নুর উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মখলিস আলীর প্রতি পক্ষের লোকজন পুলিশকে ভুল তথ্য দিলে আয়ফুলের উপরোক্ত দুই ভাইকে প্রথমে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে পরে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এখনো এ দু’জন জেল হাজতে রয়েছেন। ঘাতক নুর উদ্দিন একজন পেশাদার খারাপ প্রকৃতির লোক। ইতিপূর্বে সে একটি মামলায় সাজা ভোগ করেছে এবং অনেকবার চুরির মামলায় হাজতবাসও করেছে। হত্যাকান্ডের পর আয়ফুল বেগমের রুমের কার্পেটের নিচে ঘুমের ঔষধের পাতা ও প্লাষ্টিকের দুইটি গøাবস (হাতমুজা) রক্তমাখা টাওয়াল পাওয়া যায়। নিরীহ মখলিস আলী ও ইলিয়াস আলীকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত করায় এলাকাবাসি ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে বাদীনি আদালতে লিখিত আবেদনে তার মামা হাজি মখলিস আলী ও ইলিয়ার আলী তার মা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি জানিয়েছেন।
ভিকটিম আয়ফুল বেগম তার ঘর মেরাতমের জন্য বিশ্বনাথের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ১লাখ টাকা ঋন গ্রহন করেছিলেন। এই একলাখ টাকার জন্য ঘাতক নুর উদ্দিন তার ফুফু শাশুড়িকে হত্যা করে টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটমক অনলাইন পোটালে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনা দেশ বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।