স্টাফ রির্পোটার: বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর এলাকায় কৃষক দয়াল ও স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিশ্বনাথ থানার নবাগত ওসি গাজী আতাউর রহমান রাজু। ১২ মে বুধবার বিকেলে একদল পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চাউলধনী হাওরের সৃষ্ট বিরোধ, হত্যাকান্ডের তথ্য উপাত্ত এবং স্বাক্ষীপ্রমানাদি গ্রহণ করেন। এসময় এলাকাবাসী খুনি সাইফুল, শাহীন, জলিলসহ অস্ত্রবাজদের দাপট ও অত্যাচার নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করেন। ওসি এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হয়ে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন বিশ্বনাথ থানা পুলিশ এখন থেকে এক পেশে হয়ে থাকবে না। খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি কিছু জমি লীজ নিয়ে গরিব কৃষকের জমি দখল করে টাকা রোজগার ও হত্যাকান্ডের ঘটনা কোন বিবেকমান মানুষ মেনে নিতে পারেনা। লীজ গ্রহিতা লীজের শর্ত ভঙ্গ করলে তারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিপূর্বে চাঞ্চল্যকর এই ডাবল মার্ডারের ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ পিপিএম। তাঁরা সাইফুল ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের আশ্বাষ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমেল হত্যার ১৩দিন পরও খুনি সাইফুল এখনও গ্রেফতার হয়নি। অবশ্য পুলিশ ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫/৬জনকে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে ওসি শামীম মূসাকে বদলী করায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু কতিপয় লোক ওসির পক্ষ নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছে। জামাত বিএনপি, হেফাজতের এসব লোকদের সাথে ওসি শামীম মূসার সু-সম্পর্ক ছিল এবং বিভিন্ন ভাবে তাঁরা ফায়দাও লুটেছে। এলাকাবাসী এখন খুনি সাইফুলকে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের আশ্বাষের অপেক্ষা করছেন।
গত বুধবার চাউলধনী হাওর স্কুল এন্ড কলেজে এক জরুরী সভায় সুমেল ও দয়াল হত্যাকান্ডের আগে পরে যারা সাইফুলকে সহায়তা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়। আগামী বুধবার বিশ্বনাথ থানা সদরে খুনিদের গ্রেফতার এবং সরকারি ভূমির সীমানা নির্ধারণের দাবীতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।