বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার আসামী সাইফুলের রিমান্ডের আবেদন

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতারকৃত সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

আজ ২৩ অক্টোবর শনিবার দুপুর ১১টায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ সাইফুলকে আদালতে প্রেরণ করে এবং আদালতের নিদের্শে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাইফুলকে আদালতে প্রেরণ করে দশদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার ওসি(তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবতী।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিছা এলাকার একটি ১১তলা বিল্ডিং থেকে বাদী পক্ষ সাইফুলকে আটক করে রমনা থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ সাইফুলকে বিশ্বনাথে নিয়ে আসে। শুক্রবার বিকাল ৩টায় কয়েক শতাধিক লোক ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে খুনি সাইফুলের ফাঁসি চেয়ে বিশ্বনাথ থানা সদরে মিছিল করে। বিশ্বনাথ থানা হাজতে থাকা সাইফুল তার বিরুদ্ধে মিছিলের শব্দ শুনে হতবাক হয়েছিল। সাইফুলকে যারা আশ্রয় প্রশয় দিয়েছিলেন এবং চাউলধনী হাওরে সাবলীজে অংশীদার যারা, কেউ থাকে একবারও দেখতে যায়নি কিংবা কোন খোজ খবর রাখেননি।
একটি সূত্রে মতে, বিশ্বনাথ থানা পুলিশ সাইফুলের বন্দুকের লাইসেন্স বাতিলের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তার লাইসেন্স এখনও বাতিল করা হয়নি।

এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসন সাইফুলের বন্দুক জমা দেয়ার জন্য ১০দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দিলেও সময়সীমা পার হয়ে গেলেও  সাইফুল তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক জমা দেয়নি। পরবর্তীতে তার বাড়ির দেয়ালে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়। তারপরও সাইফুল বন্দুক জমা দেয়নি। তবে, বিভিন্নভাবে জানাগেছে, এসএমপির একটি থানায় সাইফুল একটি বন্দুক জমা দিয়েছে। এই বন্দুক লাইসেন্সকৃত বন্দুক না অবৈধ কোন বন্দুক তা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না। ভয়ঙ্কর প্রকৃতির প্রতারক সাইফুলের প্রতারনার কোন সীমা পরিসীমা নেই।

একজন সিনিয়র আইনজীবি জানিয়েছেন, সুমেল হত্যার পর সাইফুল যদি তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে গুলি করে থাকে, তবে সাথে সাথে বন্দুকটি বিশ্বনাথ থানায় জমা দিয়ে কয় রাউন্ড গুলি করেছে  তা লিখিতভাবে জানানোর কথা। এসবের কোনকিছুই করেনি সাইফুল। এখন আইনগত ভাবে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য যে, গত ১লা মে চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের নিজস্ব ক্ষেতের জমি ও বাড়িতে জোরপূর্বক ভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনী মাটি কাটা শুরু করলে, জমির মালিকপক্ষ তাতে বাধা প্রদান করেন। এতে সাইফুল বাহিনী ৮/১০টি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপযপুরি গুলিবর্ষণ করলে স্কুলছাত্র সুমেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং তার বাবা-চাচাসহ ৪জন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় গুলির মুহমুহ শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়েছিল।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *