বিশ্বনাথে সুমেল হত্যা মামলার ৫ আসামী গ্রেফতারঃ সাইফুলকে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রির্পোটারঃ বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামের চাঞ্চল্যকর সুমেল হত্যা মামলার আসামী ৫জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল ৩ মে গড়গড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামক একজন আসামীকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ৪ মে মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ১মে শনিবার হত্যাকান্ডের পর উত্তেজিত জনতা ঘটনার সাথে জড়িত চৈতননগর গ্রামের আশিক উদ্দিন, আব্দুন নূর, জয়নাল ও ইলিয়াছ আলীকে আটক করে রাখলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে ৫জন আসামী গ্রেফতার হলেও সাইফুল বাহিনীর প্রধান সাইফুল রয়েছে পলাতক। তাকে গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মরিয়া হয়ে খুঁজছে। তার পাসপোর্ট জব্দ হওয়ায় এখন আর বিদেশ পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে মাটি কাটার যন্ত্র এস্কেলেটারও জব্দ করেছে থানা পুলিশ। নিহত সুমেলের চাচা চৈতননগর গ্রামের ইব্ররাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে সাইফুলকে প্রধান আসামী করে ২৭জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩০৭/৩২৬/৩২৪/৩২৩/৪৪৭/১৪৩/১১৪/৫০৬/৩৪ দ:বি মামলা দায়ের করেন। সুমেলের পিতা আব্দুল মানিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার মাথায় কয়েকটি গুলি আটকা পড়ে আছে। একটি গুলি কপালে বিদ্ধ হয়ে কানের দিকে বের হয়ে যায়। গত চারদিন ধরে সুমেলের পরিবারে কান্না থামছে না। প্রতিদিন আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি এসে পরিবারটিকে সান্তনা দিলেও শোকের মাতম চলছে। দীর্ঘদিন ধরে সাইফুলের অত্যাচারে কেউ মুখ না খুললেও এখন এলাকার মানুষ ঐক্য হয়ে সাইফূল ও তার বাহিনীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তৎপর রয়েছেন।
এদিকে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সুমেলের পরিবার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তার কার্যালয়ে আজ ৪ মে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় এক বৈঠকে বসেন। তিনি সুমেল হত্যা কান্ডের ঘটনা ও সাইফুল বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের কথা ধৈর্য সহকারে শুনেন। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, সাইফুল কোনমতেই আর বিদেশে পালিয়ে যেতে পারবে না। আজ হউক কাল হউক তাকে আইনের হাতে ধরা পড়তেই হবে। তিনি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করেন।
বৈঠকে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম, ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, সুমেলের চাচা নজির আহমদ, মনির উদ্দিন আহমদ, আফজল হোসেন, সেবুল মিয়া, সাংবাদিক আব্দুল সালাম এবং বাদি ইব্ররাহিম আলী সিজিল ও পুলিশের প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *