নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নে একটি সাজানো চাদাবাজি ও মারামারির দায়েরি মামলার ১০ আসামীকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে এবং বাদীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২১১ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিলেরও আবেদন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী এএসএম গফুর।
মামলার এজাহার সহ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দশঘর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের তোতা মিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিআর-৩৪/২০২১) দায়ের করলে শুনানী শেষে আদালত ৩ দিনের মধ্যে দরখাস্তটি রের্কড করার জন্য বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার আসামীরা হচ্ছেন, জগন্নাথপুরের লহরী গ্রামের আবু বক্কর, লিটন মিয়া, সুহেল মিয়া, একানাইরাইন গ্রামের নূর মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, জিতু মিয়া, সেলু মিয়া, সেবুল মিয়া ও দুলাল হোসেন দুলাল, ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল গণি আনছারী।
বাদী তার অভিযোগে বলেন, দশঘর মৌজার জেএল নং-১০১, বিএস খতিয়ান-১৫৬৫, বিএস দাগ-৪০০১ মৎস্য খামার রকম ভূমিতে আসামীরা খামারে উপস্থিত হয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আসামীরা ঝাপটে ধরে বাদীর গলায় গামছা লাগিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফাইনাল রির্পোটের বিস্তারিত বর্ণনার একাংশে বলেন, বিশ্বনাথ দশঘর মৌজার জেএল নং-১০১, বিএস খতিয়ান নং-১৫৬৫, দাগ নং- ৪০০১ এর ভূমি নিয়ে এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের হিসেবে এজাহারে বর্ণিত ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে বাদীর নিকট আসামীগণ চাঁদা দাবী ও বাদীকে মারধরের বিষয়ে কোন স্বাক্ষীপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তপশীল বর্ণিত ভূমি বর্তমানে কচুরিপনায় পরিপূর্ণ এবং উক্ত জায়গায় মৎস্য খামারের কোন উপাদান পরিলক্ষিত হয়নি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামীগণকে সায়েস্তা করার হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে মর্মে তদন্তে প্রকাশ পায়।
উল্লেখ্য যে, গত ১০অক্টোবর বিশ্বনাথের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল “বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডট কম” এ ‘বিশ্বনাথে সাজানো চাঁদাবাজির মামলাঃ এলাকায় বিরোপ প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।