নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থলোভে মানুষের জীবননাশের কারন সৃষ্টি করা কোন ধর্মে বা সমাজে নেই। যারা এমন চিন্তা করেন, তাঁরা নিজের বিবেকের ধ্বংসিত হয়ে পড়ে তিলে তিলে বিবেকহীন হয়ে পড়তে পারেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও গ্রামে সন্ত্রাসী ঘটনা নেপথ্যে বড় ধরনের অর্থের লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত।
চাউলধনী হাওরের দক্ষিণ পারে দু,তিন বছর পূর্বে এভাবে বিশ্বনাথ থানার রক্ষক ভক্ষক হওয়ায় দুটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। কৃষক ছরকুম আলী দয়ালকে পিঠিয়ে হত্যা ও স্কুলছাত্র সুমেলকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালিন বিশ্বনাথ থানার ওসি ও ১জন এসআইকে ক্লোজ করা হয়। সুমেল হত্যাকান্ডের আসামীদের হত্যা করার জন্য থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে রক্তমাখা আলামত কুদাল দিয়ে চেচে নষ্ট করে দেয় এবং খুনের ঘটনার পর আসামীকে থানায় পেয়েও গ্রেফতার করা হয়নি।
অনুরূপভাবে মৌলভীরগাঁও গ্রামে সন্ত্রাসী ঘটনার পূর্বে গেইট বিরোধীদের একটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ধুমদাম করে খাওয়া দাওয়া ও রফাদফা হয়। এ ধরনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম অফিসে এসে পৌছেছে।
সূত্রেমতে সিলেট শহর থেকে বিশ্বনাথ থানা শহর হয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাইক্রোবাস যোগে যাওয়ার কথাটি অনেকের জানাছিল। চাইলে তারা ঘটনাস্থলে যেতে পারতো না। এসব কথা এখন লোক মুখে প্রচারিত হচ্ছে। গেইট ভাঙ্গার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। সন্ত্রাসীদের হাতে ৪জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। এরা গেইট ভাঙ্গায় বাধা দিতে আসলে, তাদেরকে যেন গুলি করা হয়। মৌলভীগাঁও গ্রামটিকে তিনদিক থেকে ঘিরে এই চারজনকে হণ্যহয়ে খুজছিল। কিন্তু গেইটের মালিকের চাচাতো ভাই শায়েস্তা মিয়ার নিকট অজ্ঞাত স্থান থেকে এ সংক্রান্ত খবর আসায় তাঁরা গেইট ভাঙ্গার প্রতিরোধে এগিয়ে আসেননি। ফলে কয়েকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা থেকে রক্ষা পায় গ্রামবাসী। শায়েস্তা মিয়া, বারহান মিয়া, রাহেদ মিয়া ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মবুদ মিয়া গ্রামে সন্ত্রাসীরা এসেছে উল্লেখ করে ঘটনা জানানো হলে তিন-চার ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় থানা পুলিশ। তাঁরা ৯৯৯ নং ফোনে ফোন দিয়েছিল।
গত শনি ও রবিবার পাশাপাশি পুলিশ ও সন্ত্রাসী দুই দিন এই গ্রামে অবস্থান করছিল। সোম ও মঙ্গলবার পুলিশ আসার পর সন্ধায় কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে আবারও আতংকের সৃষ্টি করা হয়। ঘটনার দিন গুলির খোসা বিশেষ ইঙ্গিতে আসামীরা কুড়িয়ে নেয় এবং বাদী পক্ষ কৌশলে ভিডিও চিত্র ধারন করে এবং পুলিশকে দেখায়। এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীগাঁও গ্রামে জামাল মিয়ার পক্ষে নুরুল ইসলামের পুত্র সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী রেখে দ্রুত বিচার আইনে সিলেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত তিনদিনের মধ্যে এফআইআর গণ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে অবগত করেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, সাইফুল ইসলামের দায়েরী মামলা এখনো হাতে পৌছায়নি। উভয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।