ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তিভোগীরা থানা প্রশাসন সহ রাজনৈতিক নেতা, পাতি নেতাদের দারে দারে ঘুরলেও কোন সুবিচার পাচ্ছেন না। এই যুবলীগ নেতার নাম দবির মিয়া। সে দৌলতপুর ইউনিয়নের মিয়াজানের গাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার পুত্র। সে দৌলতপুর ইউনিয়সন যুবলীগের সভাপতি। স্থানীয় যুবলীগ তাকে অনুপ্রবেশকারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন টু শব্দ করতে সাহস পায়না। উপজেলা পর্যায়ের অনুপ্রবেশকারিদের সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলার ৪ নং রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের তৈমুছ আলীর পুত্র শাহান আলী বিশ্বনাথ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে দবির মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, বিশ্বনাথ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে দপ্তরী চাকুরি দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নেয় দবির মিয়া। নগদ টাকা না থাকায় স্ত্রীর স্বর্ণ বন্ধক রেখে গত ২৭ জুলাই এ টাকা প্রদান করে সাহান। কিন্তু তার চাকুরিও হয়নি, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাকাও ফেরত পায়নি। থানায় দাখিলকৃত অভিযোগটি আওয়ামীলীগের উপজেলা পর্যায়ের এক নেতা বিষয়টি মিমাংসা করে দেবেন বলে তুলে নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি এখন ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন। একই ইউনিয়নের দোহাল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে কামরুলকে থানায় জব্দকৃত মোটর সাইকেল নিলামের দেয়ার কথা বলে দুই লক্ষ নয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় দবির মিয়া। টাকার জন্য কামরুল দবিরের পেছনে পেছনে ঘুরতে ঘুরতে নি:শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। একই ভাবে সিএনজি নিলামে বেশি টাকা লাভের কথা বলে অতি কৌশলে দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দেয় দবির। একইভাবে দৌলতপুরপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আলীর কাছ থেকে প্রতারনা করে ৬০ হাজার টাকা আত্বসাতের অভিযোগ ও রয়েছে। তার প্রতারনার এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে অনেকেই প্রতারনার মাধ্যমে দবির টাকা আত্বসাৎ করেছে বলে নিজ নিজ আইডিতে লিখেছেন।
এ ব্যাপারে থানার এসআই পরিমল চন্দ্র জানান, শাহানের অভিযোগ ওসি শামিম মুসা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আওয়ামীলীগের এক নেতা বিষয়টি মিমাংশা করার আশ্বাস দিলেও বিষয়টি শেষ হয়নি।