নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ উপজেলার নরশিংপুর গ্রামের দিনমজুর শায়েস্তা মিয়া, তার চাচা লন্ডন প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়াকে হিংসুক, মামলাবাজ, প্রতারক, বিয়ে পাগল আখ্যা দিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে মারপিট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন।
গতকাল বুধবার বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে গুরুত্বর জখমি শায়েস্তা মিয়া জানান, তার পিতার সৎ ভাই ইব্রাহিম মিয়া দীর্ঘ ১৫বছর ধরে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি, অত্যাচার নির্যাতন করে আসছেন। গত জানুয়ারি মাসে লন্ডন থেকে এসে বাড়ির চলাচলের এজমালি একমাত্র রাস্তাটি দেয়াল ও গেইট নির্মাণ করে বন্ধ করার প্রস্তুতি নেন। এনিয়ে গ্রাম্য মুরব্বিদের কথা না শোনায় শায়েস্তা মিয়া আদালতে ১৪৪ধারা মতে মামলা করলে আদালত, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এতে ইব্রহিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওসমানী নগর থানার খাইয়া খাইড় গ্রামের ইরন মিয়াকে দিয়ে ঘটনাস্থল সিলেটর এয়ারপোর্ট এলাকা উল্লেখ করে একটি সাজানো মিথ্যা মামলা আদালতে দায়ের করেন। আদালত এয়ারপোর্ট থানাকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। (মামলা নং-১১, তারিখ ১৮/০২/২০২৪ইং)। এ মামলা তার বড় ভাই নজির মিয়া জেল হাজতে রয়েছেন।
শায়েস্তা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ইরন মিয়ার সাথে তাদের কোন পরিচয় বা বিরুধও নেই। টাকার বিনিময়ে সে এই সাজানো মামলা দায়ের করেছে বলে জানতে পেরেছি। এক পর্যায়ে গত ১৮মে তার ভাই নজির মিয়া জেলে থাকার সুযোগে চাচা ইব্রাহিম মিয়া ৪০-৫০জন স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও তার পরিবারের ৫জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করান। ইব্রাহিম মিয়া ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখন তারা ঘর-বাড়ি ছাড়া। আহতদের সুষ্টু চিকিৎসাও দিতে পারছেন না। তার ভাই নজির মিয়ার মুক্তির দাবি ও সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্শন করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শায়েস্তা মিয়া জানান, মামলাবাজ ইব্রাহিম মিয়া ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।