বিশ্বনাথে মাদক ব্যবসা জমজমাট : হাজার তরুন বিপদগামী

অপরাধ বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজের অনেক বিবেকবান মানুষ ক্রমাগত মাদক সেবনের ফলে বিবেকহীন হয়ে পড়ে। তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা। এক সময় পরিবার ও সমাজের বুঝা হয়ে দাঁড়ায়।

বিশ্বনাথ উপজেলা হাতেগুনা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ির কারনে হাজার তরুণ বিপদগামী হচ্ছেন। কেউ সখে কেউ আবার নেশায়, কেউ সঙ্গদোষে মাদক সেবন করছে। অনেক তরুণ হাতের নাগালে মাদক পেয়ে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও এ উপজেলায় মাদক ব্যবসা এখন জমজমাট। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলে বিভিন্ন গ্রামে ওরুস ও গানের আসর বসিয়ে উঠতি বয়সী টাকাওয়ালা তরুণ জমায়ে করে গভীর রাতে তাদের মাদক ও নারীদের দিয়ে আসর বসিয়ে নগদ টাকাসহ, সবকিছু হাতিয়ে নেয়। আসলে ওরুস ও গানের আসর নামে এসব অর্পকর্ম র্দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছে। অনেকেই মান-সম্মানের ভয়ে থানায় অভিযোগ করেনা।

গাজা ও তরল মাদকের সেরা সম্রাট, শহিদ, বাহরাম ও ইয়াবায় তবারক। ফয়ছল ও আমির আলীসহ কয়েকজন খুচরা ব্যবসাযী সন্ধার পর তাদের বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক বিক্রি করে থাকেন। ফয়ছলকে গত রমজানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে ছেড়ে দেয়। এভাবে বিশ্বনাথ উপজেলার পীরের বাজার, গোদামঘাট, বৈরাগী বাজার, সিংগেরকাছ, রামপাশা, লামাকাজি, দশপাইকা বাজার, আশুগঞ্জ বাজারের আশপাশ এলাকা, বিশ্বনাথ পুরান বাজান-নতুন বাজারসহ অনেক স্থানে মাদক ব্যবসা হচ্ছে। কাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লামারচক-বৈরাগী বাজার রাস্তায় মাদকের হাট বসিয়ে নিয়ন্ত্রন করে শহিদ। হাবড়া বাজার, দৌলতপুর, দূর্যাকাপন এলাকায় মাদকের নিয়ন্ত্রন বাহরামের হাতে। তার বিরুদ্ধে কেউ টুশব্দ করতে পারেনা। মাদক ব্যবসায়িরা আত্নরক্ষায় অনেক ভদ্রবেশি রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চলাফেরা করে থাকে। যাতে কেউ বুঝতে পারেনা ভদ্রলোকরা মাদক ব্যবসায়ি। তারা নিরাপদ থাকতে অনেকেই  মাসিক মাসোহারা দেয়।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ সর্ব মহলে মাসিক বখরা দিয়ে মাদক ব্যবসা হচ্ছে। অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবর খান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি এবং তার ইউনিয়নে মাদক ব্যবসা হয় কিনা তার জানা নেই। বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তি সাংবাদিকদের বলেন, থানা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *