নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে তারাবির নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের ভেতরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। (০৯ মে) শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মঠুককোনা গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে। এতে জিলু মিয়ার পক্ষে আহত ৬ জন। তারা হলেন জিলু মিয়া (৮২), তার ছেলে হেলাল আহমদ (৩৮), তার বড় ভাই জয়নাল আহমদ (৬০), ছোট ভাই দুলাল আহমদ (৩০), বেলাল আহমদ (২৮) ও হেলাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম।
সিরাজ মিয়ার পক্ষে আহতরা হলেন, সিরাজ মিয়ার পুত্র সুয়েব আহমদ (২৬), আবু মিয়া (৪০), লুকমান (৫৫), খালেদ আহমদ (৩২)। এর মধ্যে সুয়েব আহমদ, আবু মিয়া ও জিলু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গুরুত্বর আহতদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সিরাজ মিয়া ও জিলু মিয়া দুজন একে অপরের চাচাতো ভাই হন। সংঘর্ষের আগের দিন দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে একে অপরের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে শনিবার তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে যান উভয় পক্ষ। এসময় একে অপরকে দেখে উত্তেজিত হয়ে নামাজ না পড়েই মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে মধ্যস্থতাকারিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এঘটনায় সিরাজ মিয়া বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-০৯ তারিখ ১২/০৫/২০ইং) ।
তবে হেলাল মিয়া অপর পক্ষ (সিরাজ মিয়া) সহ ৭জনকে আসামি করে পাল্টা অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা বলেন, মারামারির খবর শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সিরাজ মিয়া ১১ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর পক্ষের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।