নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের ন্যায় সিলেটের বিশ্বনাথে হেফাজতের নেতাকর্মীরা হরতাল পালনের চেষ্টা করে। বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকায় অপৃতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে পিকেটিংয়ের জের ধরে ধলিপাড়া গ্রামবাসির মধ্যে পিকেটাররা মাইকিং করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আড়াই ঘন্টা সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছে এক শিশুসহ প্রায় ১০জন। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩জনকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রায় শতাধিক রাউন শটগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৪জন।
সরেজমিন ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, আমতৈল বাজারে হরতালকারিরা যান চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে। এসময় ধলিপাড়া গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার খায়রুল ইসলাম রাস্তায় থাকা তার ট্রাকটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দারুচ্ছুন্নাহ আমতৈল মাদরাসার ছাত্ররা তাতে বাঁধা দিলে চালকদের সাথে তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে ওই মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি ফারুক আহমদ মসজিদে মাইকিং করে হরতাল পালন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোল গড়ে তোলার আহবান জানান। এতে সংঘর্ষে আরো তীব্রতর হয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে আহত হন থানা পুলিশের এসআই আফতাবউজ্জামান রিগ্যান, কনস্টেবল নাহিদ, ইমরান, জাবেদ ও আব্দুল আলিম।
এদিকে ধলিপাড়া গ্রামের আহতরা হচ্ছেন- খায়রুল আলম (৩০), আফাজ উদ্দিন সুবল (৪৫), কাচা মিয়া (৩৫), আব্দুছ সালাম (৬২), এনামুল হক (২৮), ওয়াছিদ আলী (৫২), নেছার আলী (৩১), আখলাক আহমদ (১৬), ছানোয়ার (২০), ইমন আহমদ (১৮), শিপু মিয়া (২৫), মিলাদ আহমদ (৩৫), আমিরুল ইসলাম (৩০) নজির আহমদ (৩১), জাবের মিয়া (২১), আব্দুল কদ্দুছ (৭০), জহিরুল ইসলাম (৩৮) ও ইমাম উদ্দিন (৩৬)।
আমতৈল গ্রামের আহতরা হলেন- মুলহোতা মুফতি ফারুক মিয়া (৪৮), ফারুক মিয়া (৩৫), মোহন মিয়া (৪৫), সাইদুল ইসলাম (২৫), চান মিয়া (৩৫), ফয়সল আহমদ (১৪), রাসেল আহমদ (২৫), আলী আকবর (২৫), জয়নাল মিয়া (৫২) ও গুলচর আলী (৫০)। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহ রয়েছেন- রাসেল আহমদ, আলী আকবর, জয়নাল মিয়া ও গুলচর আলী।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ১০জনকে। তবে তাদের নাম পরবর্তি নিউজে প্রকাশ করা হবে। এদিকে উপজেলার পীরের বাজার ও কালিগঞ্জ বাজারে হরতালকারিরা পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি শামিম মুসা জানান, মাইকিং করা হুজুরকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এরং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।