স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথে তুচ্ছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় জাহাঙ্গীর নামের এক কার চালককে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ওই বাসার এক মহিলা ও গোয়ালগাঁও গ্রামের ফয়ছল আহমদ। গুরুত্বর আহত জাহাঙ্গীরকে রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার মিরেরচর গ্রামে এবং সে শাহিন ড্রাইভারের ছোট ভাই। (২৩ জুন) মঙ্গলবার রাত অনুমান ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, গতকাল বিকেলে গোয়াল গাঁও গ্রামের জমসিদ আলী ছেলে ফয়ছল (২০) বাইসাইকেল যোগে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ জাহাঙ্গীরের বাসার পিছন দিকে সাইকেল দাঁড় করিয়ে কোথাও গিয়েছিল। তখন তার সাইকেলে একটি ব্যাগের মধ্যে কিছু কাপড় ছিল। কিছুক্ষন পরে ফিরে এসে দেখতে পায় সাইকেলে কাপড়ের ব্যাগ নেই। ব্যাগ খুজতে সে জাহাঙ্গীরের বাসায় ঢুকে পুরুষ মহিলাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেছে ব্যাগটি কেউ নিয়েছেন কিনা। বাসার লোকজন ছেলেটিকে বিণয়ের সহিত বলেছেন তারা এবিষয়ে কিছুই জানেন না। পরে ছেলেটি তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানালে একজন মহিলা সন্ধার দিকে আবারও জাহাঙ্গীরের বাসায় এসে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে যান। এরপর হঠাৎ করে বেশ কয়েকজন যুবক এসে জাহাঙ্গীরের বাসার ভিতর প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে হামলা চালায়। এতে কার চালক জাহাঙ্গীর ও এক মহিলা সহ ৩জন আহত হন। ভাংচুর করা হয় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শাহিন মিয়ার সাদা রংয়ের কার। এতে শাহিন মিয়ার প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
তবে ঘটনা মিথ্যা দাবী করেছেন, গোয়ালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নজির মিয়া
এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্বনাথ মাক্রবাস শ্রমীক উপ কমিটির পক্ষে চেয়ারম্যার ইউনুস আলী। তিনি জানান, অসহায় খেটে খাওয়া পরিবারের এই শ্রমিককে এভাবে কুপিয়ে জখম করা এবং তার গাড়িটি ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তিতি চলছেে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে থানা ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবতী বলেন, বিষয়টি রাতেই শুনেছি, অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।