শেখ হাসিনার নির্দেশ কোন লোক অনাহারে থাকবেনা : বিশ্বনাথে বন্যা পরিদর্শনে দুই প্রতিমন্ত্রী

জাতীয় বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শ করেছেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। প্রতিমন্ত্রীগণ বন্যা কবলিত লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিদর্শন করে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এসময় ভানবাসিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীগণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, বন্যা কবলিত একজন লোকও অনাহারে নাকবেনা। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করছেন এবং প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে এসেছি। তারা বলেন, বন্যায় সিলেটের কাচা-পাকা সড়ক, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবাদি পশু গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মোরগ, মাছের ফার্মসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে। বন্যা দূর্গত এলাকায় যাতে রোগ ব্যধির পাদুর্ভাব না বাড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরীর জন্য জনপ্রতিনিধি ও স্থাণীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে কোন দূর্যোগে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। ভয়ের কোন কারন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পাশে আছেন।

বুধবার বিকেলে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নে বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান সিলেট জেলায় বন্যায় কবলিত এলাকার জন্য ২০ লাখ টাকা, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দীকি এনডিসি, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আলাউদ্দিন কাদের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান, চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ।

বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৩শ গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশ্বনাথের নদী-নালা, খাল-বিলে ভরাট হওয়ায় পানি নামতে পারছেনা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মসজিদ, মন্দির কাচা-পাকা সড়ক। তলিয়ে গেছে মাছের খামার, আউশ, আমন, ইরি বোরো ফসল। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক ও খামারিরা তাদের গবাদিপশু, ধান, গোখাদ্য নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশের নদী-নালা, খাল-বিল খনন না করলে ভবিষ্যতে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *