নিজস্ব প্রতিবেদক :: পুরুষ শিকারী এক নারীর বিরুদ্ধে সিলেটের বিশ্বনাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক যুবক আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সালমা বেগম নামীয় এক সুন্দরী নারী প্রতারণার মাধ্যমে জ্বাল এফিডেভিট সৃষ্টি করে তাকে স্বামী দাবী করার ঘটনায় বিস্মিত হয়ে পড়ে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরী গ্রামের মফিজ আলীর পুত্র আল-আমিন (১৮) ও তার পরিবার। সুন্দরী ওই নারী হচ্ছে, উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে তিন সন্তানের জননী সালমা বেগম (৩২)। ইতিপূর্বে তার দুইটি বিয়েও হয়েছে। প্রথম স্বামীর ঘরে থাকাবস্থায় পার্শবতী কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস উরফে মুন্নার সাথে পরকিয়ায় জড়িত হয়ে তাকেও কৌশলে বিয়ে করে সালাম। ওই স্বামীর ঘরে থাকা অবস্থায়ও মোবাইলে বিভিন্ন কৌশলে ৮/১০জন অল্প বয়সী তরুণের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং প্রতারণা করে এসব ছেলেদের নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করায় গ্রাম্য শালীসে অনেক বিচারও হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসী সালমার পরকিয়া ও ছেলেদের সাথে অবাদ মেলামেশা বন্ধ করতে পারেননি। অবশেষে আল-আমিন নামের ছেলেকে ভূয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে স্বামী দাবী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করায় সব ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় এবং আল-আমিন সালমার বিরুদ্ধে (বিশ্বনাথে সিআর ১৮৩/২০২৪ইং)। ধারা ৪১৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১১৯ দ:বি:। আদালত মামলাটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশ্বনাথে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। প্রথম স্বামীও স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে আদালতে (বিশ্বনাথে সিআর মামলা নং-৫১/২০২২ইং) দায়ের করেন।
খাজাঞ্চি ইউনিয়নের মহিলা সদস্য পারভীন বেগম বলেন, সালমার প্রতারণার কোন সীমা নেই। কম বয়সী একটা ছেলেকে স্বামী বলে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে আসার জন্য আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনা শুনে আমি পালিয়ে আসি। সালমার আচরণে আমরা চরম লজ্জিত। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: হবিবুল সাংবাদিকদের জানান, সালমা মেয়েটি সম্পর্কে সবাই জানেন, তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগে আমরা অতিষ্ট।
বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রশাদ চক্রবর্তী সালমার বিরুদ্ধে দায়েরী মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের দায়েরী এজহার পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।