স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথ উপজেলার আশুগঞ্জ আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের নিরীহ ছাত্রীকে নির্যাতনকারি বখাটে সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিদ্যালয়ের একটি পার্শবর্তী গ্রামের মেয়েটি (২৪জুন) বিদ্যালয়ে এসে সাটিফিকেট নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাবু নগর গ্রামের পাশে বারিক নামক এক বখাটে মেয়েটিকে প্রথমে জোর পূর্বক পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা করে। তাতে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটিকে টেনে হেছড়ে অবহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটির দস্তা দস্তিতে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলে গলায় কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টাও করে। কিন্তু মেয়েটির হাক চিৎকারে লোকজন দৌড়ে আসতে দেখে বখাটে পালিয়ে যায় এবং মেয়েটি অল্পের জন্য রক্ষা পায়। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি জানা জানি হলে বখাটে পক্ষের কয়েকজন বিদ্যালয়ে চলে যায়। সেখান থেকেও তারা মেয়ের খোজ কবর না নিয়ে ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা গটনাস্থালে ছুটে গেলে বখাটে পক্ষের লোকজন তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি আপোশে মিমাংসার জন্য লোকজন মেয়ের বাড়িতে চলে যান। মেয়ের পিতা মৃত্যুবরণ করায় এবং মাতা অপ্রকৃতিস্থ থাকায় সেই চেষ্টাও ভন্ডুল হয়ে যায়। অবশেষে থানা পুলিশ বখাটে বারিককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। উপজেলা প্রশাসন ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে নেক্কারজনক এ ঘটনার বিচার করতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাতে সায় দেননি। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা নাকি সাজানো নাটক। শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশ বাদি হয়ে বারিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে (মামলা নং-২০,তারিখ ২৫/৬/২০১৯ইং)। বুধবার বখাটে বারিককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার নির্যাতিত ছাত্রী সিলেটের জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক নওরিন করিম এর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এ ঘটনায় এলাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, বখাটেকে রক্ষায় যারা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তাদেরকেও আইনের আওতার এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেরায়েত হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য, তবে তিনি কোন অভিযোগ করেননি এবং ঘটনাটি সাজানো নাটক কথাটিও তিনি অস্বীকার করেছেন।