বিশ্বনাথে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি আসামিরা

অপরাধ বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথে এমরান আহমদ লিটন (২০) নামের এক দোকান মালিককে গণপিটুনি দিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে ভাড়াটিয়া পক্ষ। স্থানীয়রা লিটনকে গুরুত্বর জখমি অবস্থায় উদ্ধার কর দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান লিটনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে জানাগেছে। ঘটনাটি পৌরসভার পুরান বাজার কলাহাটা সংলগ্ন তার নিজ দোকানের সামনে ঘটেছে। লিটন পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মৃত আরমান আলীর পুত্র। এ ঘটনায় ৯জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, (মামলা নং-১১)। হামলার ঘটনার বিপরিতে থানায় মামলা করতে গিয়ে আটক হয়েছেন আসামি গিয়াস উদ্দিন। আজ শুক্রবার তাকে আদালতের প্রেরণ করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত২৭ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে লিটন তার পৈতৃক দোকানের ভাড়া তুলতে যান ভাড়াটিয়া সুড়ির খাল গ্রামের রহিম উদ্দিনের কাছে। রহিম উদ্দিন ভাড়া না দিয়ে লিটনক অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। একপর্যায়ে লিটনকে গণধোলাই দেন রহিম উদ্দিন ও তার লোকজন। লিটনের উপর হামলার সময় এক ব্যক্তির হাতে বিদেশি চাপাতিও দেখা গেছে। বর্তমানে লিটন ওসমানী হাসপালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় লিটনের চাচাত ভাই জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সুড়িরখাল গ্রামের হাজী হারিছ আলীর পুত্র আলা উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন, মত হাজী ফুলকাছ আলীর পুত্র রহিম উদ্দিন, নুর উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিনের পুত্র আলী হাসান, আলা উদ্দিনের পুত্র আবুল কাশেম, রহিম উদ্দিনের পুত্র আলমাছ আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরো চার পাঁচ জন।
মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন জানান, ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া চাওয়ায় আমার চাচাত ভাইকে অমানবিক নির্যাতন করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছে আসামিরা। আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমার ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।
এ ব্যাপার বিশ্বনাথ থানার ওসি রুবেল মিয়া বলেন, লিটনের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার হয়নি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *