নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ৫জন হাসপাতালে ভর্তি। ৩ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজন। বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন।
আজ (৫জুন) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পাঠাকইন মাদরাসার উত্তরের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিএনপি নেতা গনি মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন, মৃত ছত্তার মিয়ার ছেলে দিলনুর মিয়া, মৌরশ মিয়া, মাসুক মিয়া, মকতার আলী ও দিলনুর মিয়ার মেয়ে।
চুনু মিয়া পক্ষের আহতরা হলেন, চুনু মিয়া, তার ছেলে জুবায়ের মিয়া ও তার ফুফাত ভাই ওলিউর রহমান।
জানাগেছে, বিএনপি নেতা গনি মিয়া ও চুনু মিয়া গংদের মধ্যে পুর্ব বিরুধ রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১১রমজান তারাবির নামাজে যাওয়ার পথে গনি মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় ছুনু মিয়াসহ ৯জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে অনেকেই জেল খেটেছেন। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ গত ২৮মে চুনু মিয়ার প্রতিবন্ধি মেয়ে লিজা বেগমের উপর হামলা ও জালাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের ৬টি দাত ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় জালাল মিয়া বাদী হয়ে স্থানীয় মেম্বার আয়াজ আলীসহ ৯জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এক পক্ষ অপর পক্ষকে গায়েল করতে গত কয়েক দিন ধরে চলছে পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। এক পর্যায়ে আজ সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। এতে উভয় পক্ষে আহত হন অন্তত ১০জন।
আহত চুনু মিয়া জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় সে তার ছেলে মেয়েসহ গুরুত্বর আহত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে গিয়েও প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা তাদের ভয়ে ওসমানী হাসপাতাল ত্যাগ করে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
গনি মিয়ার পুত্র মাসুম জানান, তাদের উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। প্রতিপক্ষ তাদের উপর একের পর এক হামলা করেছে। আজও চুনু, ইয়াবা সম্রাট তবারক, জুবায়ের, পংকি, জুয়েল, শাওন, মোবারক, দুলাল, হামযা, আরিফ, সোলেমান তাদের হামলা গুরুত্বর ৩জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। হামলাকারি কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
