ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম (১৯) বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল।এঘটনায় তথ্য গোপন করায় তার ভগ্নিপতি (দুলাভাই) ফয়জুল ইসলাম (২৮)’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের পুত্র। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
গত (১০অক্টোবর) লালটেক তার (পপির) নিজ বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছিল বিশ্বনাথ থানার পুলিশ। ধারনা করা হয়েছিল মেয়েটি আত্নহত্যা করেছে। কিন্তু মেয়ের মা তার ভ্যানেটি বেগে একটি চিরকুট খুজে পাওয়ায় আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
পপি গত (৬অক্টোবর) রবিবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের চেরাগী গ্রামে তার বড় বোনের স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে রাতে তাকে গণধর্ষন করা হয়। ধর্ষন শেষে মেয়েটিকে বখাটেরা তার বোনের বাড়ির অদূরে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে চেরাগী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক মেয়েটিকে রাস্তায় পেয়ে তার বোনের বাড়িতে পৌছে দেয়। গুরুতর অসুস্থ মেয়েটি তখন কোন কথা বলতে পারেনি। তার পর বড় বোনের স্বামী ফয়জুল ইসলাম ওই দিন পপিকে তার পিত্রালয় লালটেক গ্রামে পৌছে দেয়। গণধর্ষনের শিকার মেয়েটি ক্ষোভে অপমানে গলায় ওড়না পেছিয়ে নিজ ঘরে আত্নহত্যা করে এবং একটি চিরকুটে গণধর্ষনের কথা লিখে যায়।
দাফনের ২দিন পর পপি বেগমের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে তার মা জোসনা বেগম এই চিরকুটটি পার এবং কারা তাকে গণধর্ষন করেছে তাদের নামও চিরকুটে লিখা আছে। ধারনা করা হচ্ছে বড় বোনের বাড়ির নিকঠাত্মীয়রাই তাকে গণধর্ষন করেছে। সাথে সাথে বিষয়টি জেনে তাকে চিকিৎসা করালে বা পতিকারমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মেয়েটি হয়তো আত্নহত্যা করতো না। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করার দাবি করেছেন এলাকাবাসি।