ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্বনাথ থানার (মামলা নং-০৪, তারিখ- ০২/০৮/২০১৯ইং)। দন্ড বিধি ৩৮৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬/ (২) মতে মামলাটি দায়ের করেছেন বটতলা গ্রামের মৃত জহুর আলী মিয়াজির পুত্র মো: রুকন মিয়াজি। মামলা দায়েরের পর একমাত্র আসামি নাজমুল ইসলাম রুহেল আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন মর্মে লোক মুখে শুনা গেলেও সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা।
বাদি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকালীন সময়ে বড় খুরমা গ্রামের মৃত আসলম আলীর পুত্র হারুন মিয়া তার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। এই সুযোগে আসামি নাজমুল ইসলাম রুহেল তার নির্বাচনী ব্যয় মিটানোর জন্য হারুনের নিকট দশলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। হারুন টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি রুহেল হারুনকে প্রাণ নাশের হুমকি দিলে তিনি প্রাণ রক্ষার্থে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান রুহেল হারুন মিয়ার মালিকানাধীন পনাউল্লা বাজারে ২২ নং দোকান কোটাটি দলিল জালিয়াতি করে দখলের চেষ্টা করেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান রুহেল নিজেই দোকানটি কিনেছেন মর্মে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আদালতে দোকান খরিদের প্রকৃত দলিল দাখিল করতে না পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তির জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার ওসমানীনগর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার বিশ্বনাথ থানা পুলিশ বিভিন্ন ভাবে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করেন। এক প্রর্যায়ে দোকানের প্রকৃত মালিক অর্থাৎ চেয়ারম্যান রুহেল সত্যি দোকানটি কিনেছেন কিনা তা দেখার জন্য বিশ্বনাথ থানা সদরে কয়েক দফা শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু বিষয়টি কোন সমাধান হয়নি। বাদি তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন যে, দোকানের মালিক হারুন মিয়া তাকে আইনগত আমোক্তার নিয়োগ করলে আসামি রুহেল তার চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বলে তাকেও বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেন। যে কারনে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। এ ব্যাপারে আসামি নাজমুল ইসলাম রুহেল প্রথমে জানান তিনি (৬আগষ্ট) মঙ্গলবার সিলেটের একটি আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন পরে আবার জানান হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন। রুহেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ সহ বিভিন্ন ধরনের বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাও ছিল।