নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামের স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলার ৫আসামী মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শ অমান্য করে নির্ধারিত সময়ে হাজিরা না দিয়ে পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীরা হচ্ছে, সাইফুল, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, আছকির। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামী সাইফুল, নজরুল, সদরুল মহামান্য হাইকোর্টে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও আতাউর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন। ১৬ সেপ্টেম্বর আসামী সিরাজ ও আছকির একই আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের প্রার্থনা করলে মহামান্য আদালত শুনানী অনুরূপভাবে ৪সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন। মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শ মতে, ১২ ও ১৩ অক্টোবর আসামীদের ৪ সপ্তাহ (২৮দিন)পূর্ণ হওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু আসামীরা মহামান্য হাইকোর্টের এই নিদের্শনা অমান্য করে আদালতে হাজির হয়নি এবং তারা পলাতক রয়েছে। বাদী পক্ষের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে আদালত পাড়ায় আসামীদের ঘুরাফেরা করতে দেখা গেলেও মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শ তোয়াক্কা না করে হাজির হয়নি। বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর জানিয়েছেন, আদালতের দেয়া সময়সীমা অতিবাহিত হয়েছে। এখন আসামীদেরকে গ্রেফতারে আইনগত কোন বাধা নেই। একটি সূত্র জানায়, আসামীরা মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন নেয়ার জন্য হাসপাতাল ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে এবং ডাক্তারি সনদপত্র নিয়ে হাজির হয়ে জামিনের চেষ্টা তদবির করতে পারে। মঙ্গলবার রাতে একজন আসামী এম্বুলেন্স করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে মামলার বাদী ইব্রাহিম আলী সিজিল জানিয়েছেন।
গত ১লা মে চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র স্থানীয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র সুমেল আহমদকে সাইফুল ও তার বাহিনী বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় বিশ্বনাথ থানার প্রাক্তন ওসি শামীম মূসা ও এসআই ফজলু খুনিদের রক্ষার জন্য গ্রেফতার না করে ঘটনাস্থল ত্যাগে সহযোগিতা করেন এবং হত্যার আলামত নষ্ট করেন। এ ঘটনায় সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।