স্টাফ রির্পোটার: সিলেটের গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেছেন, অপরাধ করে পুলিশের হাত থেকে কোন অপরাধী রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। হত্যাকান্ডের মত ঘটনার সকল অপরাধীকে খুজে বের করে আইনের কাটগড়ায় দাড় করানো হবে। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তিনি সুমেল ও দয়াল হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
৩১ মে সোমবার সকালে বিশ্বনাথ উপজেলা চাউলধনী হাওরের চাঞ্চল্যকর সুমেল ও দয়াল হত্যাকান্ডের ঘটনার তদন্তকালে বাদী পক্ষের স্বাক্ষীদের এসব কথা বলেন। তিনি সুমেল ও দয়াল হত্যাকান্ডের আগে ও পরের ঘটনাসমূহ এবং চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহিতা বাহিনী কৃষকদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্তের পূর্বে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ারও নোটিশ প্রদান করা হয়। এতে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের কথিত সভাপতি পংকি খান নোটিশ পেয়ে তার কার্যালয় হাজির হন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্বাক্ষীগণের পূর্বে অপেক্ষারত অবস্থায় বাদী পক্ষের স্বাক্ষীদের পংকি খান বলেন, সাইফুল এতো খারাপ ছেলে আমি আগে জানলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে পারতাম। তাকে কেন এখানে নোটিশ করা হয়েছে তাও স্বাক্ষীদের নিকট জানতে চান। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুমেলের চাচা নজির উদ্দিন।
তদন্তকালে পংকি খানকে কি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে বা তিনি কি বলেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিশ্বনাথ থানার সাবেক ওসি শামীম মূসা ও এসআই ফজলুকে। চাউলধনী হাওরপারের ২৫টি গ্রামের কৃষকদের নিয়ে গঠিত কমিটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্বাক্ষীগণ বিশ্বনাথ থানার সাবেক ওসি শামীম মূসা ও এসআই ফজলুসহ কতিপয় অন্য পুলিশের কর্মকর্তাদের ইন্দনে ও সহায়তায় ডাবল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান। দয়াল হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হলে ওসি শামীম মূসার নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুমেল হত্যাকান্ডের পর শামীম মূসা ও এসআই ফজলু ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তমাখা মাটি কোদাল দিয়ে চেচে খুনের আলামত নষ্ট করে দেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা ভাবে বড় অঙ্কের ঘুষ নিয়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে ৫/৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। সুমেল হত্যাকান্ডের পূর্বে প্রায় সপ্তাহখানেক থানায় বসে পরিকল্পনা করে পুলিশের সহায়তা নিয়ে বন্দুক, পিস্তল নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটানো হয়। হত্যাকান্ডের পর থানা পুলিশ চাইলে সাইফুলকে গ্রেফতার করতে পারত। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। ডাবল মার্ডারের পক্ষের স্বাক্ষী প্রদান করেন, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম, সুমেলের চাচা নজির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া ও আব্দুল মজিদ মেম্বার, দয়াল হত্যা মামলার বাদী আহমদ আলী, সুমেল হত্যা মামলার বাদী ইব্ররাহিম আলী সিজিল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুর রহমান, মাস্টার বাবুল মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরীর সাথে একাদিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।