স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক গ্রামের মৃত ইছাক আলীর মেয়ে ফুলতেরা বেগম তার চাচাতো ভাই জমির আলী ও তফুর আলী উরফে নেফুর আলীর বিরুদ্ধে ভুমি দখল, সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন। (২৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পালেরচক গ্রামের মৃত ছোরাব আলীর পুত্র কামাল উদ্দিন। ফুলতেরা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মৃত হাজী ইশ্বাদ আলীর পুত্র জমির আলী, ইলিয়াছ আলীর পুত্র তফুর আলী উরফে নেফুর আলী তার ভাই ছইল মিয়ার বাড়ীর পূর্বদিকে ৫৫শতক এবং বাড়ীর পশ্চিম দিকে ১৩শতকসহ মোট ৬৮শতক ভুমি এসএ জরিপে তার পিতা মৃত ইছাক আলী, চাচা মৃত হাজী ইশ্বাদ আলী ও অপর চাচা ইলিয়াছ আলীর নামে রেকডভুক্ত হয়। বাড়ীর পশ্চিম দিকে ১৩শতক ভুমি তার পিতা মৃত ইছাক ও চাচা ইশ্বাদ আলী খরিদারসূত্রে মালিক হন। ১৯৯১সালে ৫৫শতক ভুমি চাচাতো ভাই জমির আলী ও তফুর আলী প্রতারণামুলকভাবে তার পিতা ইছাক আলীর নামে রেকড করতে দেননি। পরবর্তীতে তার ভাই ছইল মিয়া ও মনসুর মিয়াকে ফাসানোর উদ্দোশ্যে ছবি, নাম-ঠিকানা জাল করে টেংরা মৌজার দলিল উপস্থাপনের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসে নামজারী (মোকদ্দমা নং-৮৪৩/১১-১২) দায়ের করে ছইল মিয়া ও মনসুর মিয়ার নামে নামজারী করা। এসময় ছইল মিয়া ও মনসুর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৮সালের ১১মার্চ ফুলতেরা বেগম একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। এই নামজারী মামলা নিয়ে জমির আলী একটি মামলা ও নেফুর আলী একটি মামলা দায়ের করেন। জমির আলীর মামলাটি সিআইডি ফাইনাল রির্পোট দিলেও তফুর আলীর দায়েরী মামলাটি সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে ছইল মিয়া ও মনসুরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দালিখ করেন। তিনি চাচাতো ভাই জমির আলী ও নেফুর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন মর্মে অভিযোগ করেন। ১৯৯১ সালে সেটেলম্যান্ট জরিপের সময় ইছাক আলীর নাম বাদ দিয়ে বর্ণিত ভুমি ইশ্বাদ ও ইলিয়াছ আলীর উত্তরাধিকারীদের নামে তথা জমির আলী ও নেফুর আলীর নামে রেকড করা হয়েছে। কিন্তু ২০১১-১২সালে জমির আলী ও নেফুর আলী কোন স্বার্থে জাল দলিল ছইল মিয়া ও মনসুর আলী ছবি স্বাক্ষরকরে তাদের নামে সেই ভুমি নামজারী করে দেয়ার কারণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ফুলতেরা বেগম জানান, তার ছোট ভাই প্রবাসী দাদু ভাই ছইল মিয়া একজন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাধী, সমাজসেবক, দানবীর। তার সুনাম নষ্ট করার জন্য চাচাতো ভাই নেফুর ও জমির আলী উঠে পড়ে লেগেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, পালেরচক গ্রামের লয়লুছ আলী, হাবিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, মকবুল হোসেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের আলাল হোসেন রানা।