স্টাফ রিপোটারঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও কৃষকদের বিরুদ্ধে সাজানো ২টি দায়েরী মামলার ১৮জন আসামী আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। মঙ্গলবার সিলেটের ৩নং আমলী আদালতে আসামীরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে মাননীয় আদালত শুনানী শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এএসএম গফুর।
গত ১৪ ফেব্রæয়ারী দশঘর নোয়াগাঁও টিল্লাপাড়া গ্রামের তাহিদ আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৯জনকে আসামী করে দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪ধারামতে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের নিদের্শে ১৬ ফেব্রæয়ারী বিশ্বনাথ থানা পুলিশ মামলাটি রেকড করে। মামলা নং-১৮, তাং-১৬-০২-২১ইং। এই মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, রহিম উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম, ফখরুল আলম, রেজাউল, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, ফারুক আহমদ, আব্দুল করিম ও বুরহান উদ্দিন।
অপর মামলাটি দায়ের করেন ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল জলিল। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ দন্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৭৯/৫০৬/২ধারা মতে ১৮জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি রেকড করেন। মামলা নং-৩০, তাং-৩০-০১-২০২১ইং। এ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন হাফিজুর রহমান, নাজমুল আলম, আলী হোসেন, হোসেন আহমদ, তফুর মিয়া, আব্দুল সোবহান, আব্দুল মতিন, আব্দুল কাইয়ুম ও আব্দুল মুমিন।
এদিকে গত ২০ ফেব্রæয়ারী শনিবার চাউলধনী হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহবায়ক, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য মোঃ আব্দুল কালাম ও মাহফুজুর রহমান নামক একজন কৃষককে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। আন্দোলনরত কৃষকদের মামলা হামলা দিয়ে ভয় দেখিয়ে লীজ গ্রহিতা বাহিনী সেচ দিয়ে হাওরের পানি প্রত্যাহার করে মাছ ধরছে। প্রশাসনে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল হচ্ছে না। এ নিয়ে চলতি ইরি বোরো ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি কৃষকদের হয়রানি করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।