বিশ্বনাথে গায়েবী মহিলার ক্ষমতার দাপট!

বিশ্বনাথ রাজনীতি সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিরোনাম পড়ে কেউ কেউ অবাক হতে পারেন কিংবা বিস্মিত হয়ে যাবেন। আসলে তা নয়, যা সত্য তাই বলা হয়েছে। এই গায়েবী মহিলা সব সরকারের আমলেই তার দাপট এবং তিনি সকল এমপি মন্ত্রীদের অল্প সময়েই প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেন। বিনিময়ে অনেক কিছু কামাইও করে থাকেন। এই মহিলা সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হকের কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ মহিলার খেলা-নেলা নতুন প্রজন্মের কেউ জানেনা।

প্রায় মাস খানেক পূর্বে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বাঁচাই নিয়ে তাঁর কাছে জেলা, উপজেলার কয়েকজন নেতা বৈঠকে বসে ছিলেন। দু’একজন তার কথাবার্তা ও আচরনে অবাক বিস্ময়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ বৈঠকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর এ গায়েবী মহিলার মনোনীত প্রার্থীর নাম বাদ পড়ায় বৈঠকটি পন্ডু হয়ে যায়। এ খবর উপর মহল ও তৃণমুলে খবটি ছড়িয়ে পড়ে। যে কারনে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী করা সম্ভব হয়নি। এখন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। যদিও সরকার দলীয় পরিচয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষালম্বন না করার কথা বলেছেন এবং বিএনপিও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার ঘোষনা দিলেও তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ লড়ছেন।

১৯৯১-৯৬, ২০০১-২০০৮সাল সময় পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পালনে এই গায়েবী মহিলা স্বজোরে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতেন। একজন সাংসদের ক্লাসমিট পরিচয় দিয়ে ক্ষমতাও ভোগ করেছেন। ৯৬সালের নির্বাচিত সাংসদের উন্নয়ন বরাদ্দ তার হাতে কলমেই লেখা হতো।

গত ৭জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের ময়দানে তাকে দেখা না গেলেও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগের চেয়ারে তাকে বসতে দেখা যায়। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে বিষ হজম করে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঠে ময়দানে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল রোশন চেরাগ আলী একক প্রার্থীর বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, এ গায়েবী মহিলার ক্ষমতা দেখে আমি বৈঠকে বিব্রত বোধ করি। অনেকেই বলছেন যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হোক না কেন এই মহিলা তার গলায় মালা পরিয়ে দেবে। বিষয়টি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *