বিশ্বনাথে গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙ্গনের বাঁধ নির্মাণ!

বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের পাশে খাজাঞ্চি নদীর ভাঙ্গন রোধে ৯লাখ ২১হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকার মেসার্স এসএস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। গাছ ও বাঁশের বেড়ার পর ড্রামসীট দিয়ে মাটি ভরাট করে প্রতিরোধ বাঁধ দেয়া হচ্ছে। ঠিকাদার ইতি মধ্যে ভাঙ্গন এলাকায় গাছ ও বাঁশ নিয়ে এসেছেন।

গ্রামবাসিরা জানান, গত ৫/৬ বছর ধরে গোবিন্দ নগর গ্রামের পূর্ব ও উত্তর পাশে নদী ভাঙ্গনের কারনে প্রায় ৪শ মিটার জায়গায় রাস্তা, গাছপালা, কবরস্থান নদী গর্ভে বিনীন হয়ে যায়। নদী ভাঙ্গনের কাছেই গোবিন্দনগর মসজিদ, কবস্থান ও বাড়িঘর রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে রামপাশা খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন।

নদী ভাঙ্গনের কারনে দ্বীপবন্ধ ও গোবিন্দনগর গ্রামে কোন যানবাহন যাতায়াত করতে পারছেনা। গ্রাবাসির উদ্যোগে কয়েক দফা বাঁশ, গাছ ও চটের বস্তা দিয়ে মাটি ফেলে প্রতিরোধ বাঁধ দিলেও নদীর গভীরতা বেশি থাকায় পানির তোড়ে বার বার ভেঙ্গে যায়। এনিয়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রকাশও হয়েছে।

গ্রামবাসির অনুরোধে স্থানীয় সাংসদ মোকাব্বির খান সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করেন। এর আগে সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমানে চৌধুরী পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী সাধন চন্দ্র দাসকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী ভাঙ্গন রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থারও আশ্বাস দিয়েছিলেন।

গ্রাবাসিরা জানান, ভাঙ্গন এলাকায় যে সকল গাছ ও বাঁশ রাখা হয়েছে এগুলো দিয়ে খুঁটি দেয়া হলে মাটির চাপে এমনিতেই ধসে পড়ে যাবে। তাদের অভিযোগ গাছের ছোট ছোট ডাল কাঁচা বাঁশ দিয়ে খঁটি দেয়া হচ্ছে। তাই টেন্ডারের সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য এমপি ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ইনকিলাবকে জানান, গ্রামবাসির যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাথমিক ভাবে গাছ ও বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূল প্রকল্প অনুমোদনের পর স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ বাঁধ নির্মাণ করা হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *