বিশ্বনাথে খু-ন হওয়া নিপেশের পরিবারকে প্রবাসী ও এলাকাবাসীর আর্তিক সহায়তা প্রদান

বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

জস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজারে ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রেতা নিপেশ তালুকদার হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ ও বিচার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী ও প্রবাসীরা। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাওনপুর গ্রামের প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন আর্থিক সহায়তা নিয়ে, যা মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে বাওনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। সভা শেষে নিহতের স্ত্রী লক্ষী দাশের হাতে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সালিশ ব্যক্তিত্ব রইছ মিয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সমাজকর্মী গোলাম আকবর। বক্তব্য রাখেন উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও রাজনীতিবিদ মো. ময়নুল হক। তিনি বলেন, “এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়বে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্কুল শিক্ষক ইমরান আহমদ, প্রবীণ সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফজলুল হক ফজলু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ড শুধু একজনের জীবননাশ নয়, এটি পুরো সমাজে ভয়ের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রবাসীদের এমন সহায়তা নিপেশের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন—আমরুশ আলী, ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল মছব্বির, ফেরদৌস মিয়া, আব্দুস শহিদ, মবুল মিয়া, মাসুক মিয়া, সুজন মিয়া, তৈমুছ আলীসহ বাওনপুর গ্রামের অগণিত মানুষ।

নিপেশের স্ত্রী লক্ষী দাশ সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “আমি শুধু বিচার চাই। আমার স্বামীকে যারা খুন করেছে, তারা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়।” তিনি সহায়তা প্রদানকারী প্রবাসী ও এলাকাবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল রাতে পাঁচপীর বাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান দিরাই উপজেলার সোলমানপুর গ্রামের বাসিন্দা নিপেশ তালুকদার। পরদিন তার স্ত্রী লক্ষী দাশ বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের এই সম্মিলিত পদক্ষেপ নিপেশ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে নতুন উদ্দীপনা এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে এটি প্রমাণ করেছে, মানবিকতা এখনো সমাজে বেঁচে আছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *