স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের মাদরাসা ছাত্র শিশু রবিউল ইসলাম চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাদিক মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য সহায়তা চেয়ে থানা পুলিশ ফেসবুকেও স্ট্যাটার্স দিয়েছিলেন। ঘটনার প্রথম দিকে ছাদিককে কাছে পেয়েও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ ঘটনা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানার পর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারছেনা।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের তেঘরি (নোয়াগাঁও) গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র বাবুল মিয়া , করপাড়া গ্রামের সামছুন নুরের পুত্র শফিক নুর ও খাজাঞ্জি ইউনিয়নের কুড়িখলা গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র মকবুল ইসলাম ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে বৈরাগী বাজারে যায় এবং তারা হাওরে ছাদিকে জমিতে ধান কাটতে থাকে। ছাদিক হত্যা মামলার আসামি একথা জানতেন না নিরীহ শ্রমিকরা। কিন্তু মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ ছাদিকের জমিতে শ্রমিকরা ধান কাটছে এমন কবর পেয়ে হাওর থেকে এই ৩ শ্রমিককে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। তাদেরকে জেল হাজতেও প্রেরণ করা হয়েছে। নিরীহ শ্রমিকদের আত্নীয়স্বজনরা তাদের আটকের খবর শুনে থানা সদরে এসে চেষ্টা তদবির ও কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। কিন্তু ছাদিকের খুনের অপরাধে শ্রমিকরা কেন গ্রেফতার হয়েছে তা কেউ তাদের জানাতে পারছেনা। ঘটনাটি বৈরাগী বাজার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।