নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশে ভদ্রবেশি-ছদ্মবেশি প্রতারক, টাউট, টগ, বাটপারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিছুলোকের কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও পোষাকের বেশভূষায় বুঝার কোন ক্ষমতা নেই যে, কে ভালো বা কে মন্দ লোক। এমন এক ভদ্রবেশি প্রতারকের সন্ধান মিলেছে বিশ^নাথে। বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের এই ব্যক্তির নাম গোলাম কিবরিয়া। তার নামের সাথে যুক্ত আছে, তালুকদার। নির্লজ্জ বেহায়া ব্যক্তিটির বাড়ি বিদ্যাপতি সাঙ্গীরাই গ্রামে। তার পিতার নাম গোলাম মোস্তফা তালুকদার। সে লামাকাজি ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি। প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা রয়েছেন এ প্রতারক। স্থানীয় জনসাধারনের মতে, ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বর্তমানে লিবিয়ায় অবস্থান করছে এই গোলাম কিবরিয়া। এলাকাবাসীসহ তার আত্মীয় স্বজন কোন সন্ধান পাচ্ছেন না। স্থানীয় লোকদের মুখে মুখে গোলাম কিবরিয়া আড়াই মাস ধরে লিবিয়ার ত্রিপলিতে অবস্থান করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে লামাকাজি ইউনিয়নের সবচেয়ে বৃহৎ বাজার লামাকাজি বাজার। এ বাজারের নগদ ৬ লাখ টাকা সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় গোলাম কিবরিয়াকে। তারপর বাজারের আয় থেকে ১২ লাখ টাকা, গরুর হাট থেকে প্রাপ্ত ৫৩ লাখ টাকা, দোকান কোঠা বিক্রয় বাবদ ২৫ লাখ টাকা সহ সর্বমোট ৯৬ লাভ টাকা সহ অন্যান্য খাতের প্রায় ১ কোটি টাকা কিবরিয়ার নিকট জমা ছিল। বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে নিয়ে হিসাব না দিতে বিভিন্ন ফন্ধিফিকির শুরু করে কিবরিয়া। এলাকাবাসী বার বার হিসাব চাইলেও দিমু, দিচ্ছি করে সময় ব্যয় করতে থাকে। পূর্বের নিয়মানুসারে বাজারের মসজিদের শর্তমতে ৭ লাখ টাকা এবং বাজারের আয় থেকে মাদরাসার জন্য ৩৫ লাখ টাকা সহ সর্বমোট ৪২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও চালাক চতুর কিবরিয়া কোন টাকা না দিয়ে কৌশলে সকলের অজান্তে বিদেশে পারি জমায়। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোলাম কিবরিয়া লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। লামাকাজি বাজার মসজিদ কমিটির মোতাওয়াল্লী আব্দুল মালিক, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম লামাকাজি মাদরাসার মুহতামিম নুরুল ইসলাম, বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিরণ মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কোটি টাকা আত্মসাতের স্বীকার করে গোলাম কিবরিয়া এলাকা থেকে উধাও হয়েছে বলে জানান।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া জানান, বাজারের ফান্ডের বিপুল পরিমাণ টাকা কিবরিয়ার কাছে জমা ছিল। কিন্তু মসজিদ মাদরাসা সহ বাজারের টাকা ফেরত না দিয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়েগেছে সে। এ ব্যাপারে তার আত্মীয় স্বজন কিবরিয়ার সঠিক কোন অবস্থান জানাচ্ছেন না।