স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতন নগর গ্রামের কৃষক দয়ালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার ২৯ (জানুয়ারী) বাদ আছর নামাজ শেষে লাশ দাফন করা হয়। বাদ জুম্মা দয়ালের লাশ সামনে রেখে চাউলধনী হাওর পারের ২৫টি গ্রামের মানুষ ছরকুম আলী দয়াল (৬৫) দয়াল হত্যাকারীদের গ্রেফতার, সাইফুল বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ, চাউলধনী হাওরের লীজ বাতিল, সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কৃষকের ক্ষতিপূরণের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চাউলধনী হাওর রক্ষা ও কৃষক বাচাও কমিটির আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান। দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমির আলী, দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল্লাহ সিতাব, সাবেক মেম্বার মো. শামছুদ্দিন, নজির আহমদ ও মাস্টার বাবুল মিয়া।
সভায় বক্তারা দয়াল হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে বলেন, যারা চাউলধনী হাওরে লীজ নিয়ে সাব লীজ দিয়ে সরকারের লীজের শর্ত ভঙ্গ করে একটি বাহিনী গঠন করে কৃষক সমাজকে খুন ও হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। বক্তারা আরও বলেন, সাইফুল বাহিনী কতিপয় লোকের ইন্ধন ও আস্কারা পেয়ে কৃষকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করছে। কিন্তু প্রশাসন এর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বরং সাইফুল বাহিনী কৃষকদের আন্দোলন দমাতে একের পর এক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার নিজের জমির পানি সাইফুল বাহিনী সেচ দিয়ে অন্যত্র ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় কৃষক দয়ালকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকন্ডের বিষয়টিকে একটি মহল ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দয়ালের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে। কৃষক দয়ালকে হত্যা ও কৃষকদের উপর সাজানো মামলা দায়েরে চাউলধনী হাওর পারে এক অজানা আতংঙ্ক বিরাজ করছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসীসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা তাদের পরিবারকে নিয়ে আতংকে দিন যাপন করছেন। মহামারি করোনার কারণে অনেকেই যেমন দেশে আসতে পারছে না তেমনি পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগই প্রায় বন্ধ। সব মিলিয়ে চাউলধনী হাওর পারের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।