ফলোআপ
নিজস্ব প্রতিবেদক:সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরে কৃষকদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলার আসামীরা জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। ৫জানুয়ারী মঙ্গলবার সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেষ্ট ৩য় আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান ভূইয়া এর আদালতে আসামীরা জামিনের আবেদন করিলে শুনানী শেষে আদালত আসামীদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি এএসএম গফুর।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, মীরগাও গ্রামের আবুল কালাম, আবুল মিয়া, ফজর আলী, পাড়ুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মজিদ, মৌলভীগাও গ্রামের মাহফুজুর রহমান, আব্দুস সোবহান, ছমির উদ্দিন, আলী হোসেন।
আন্দোলনরত কৃষকদেরকে দমাতে মামলায় ৫০/৬০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টায় চাউলধনী হাওরের মৌখালী বিলে আসামীরা ২লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছে মর্মে দশঘর নোয়াগাঁও ঘাগুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল জলিল বাদী হয়ে এই মামলাটি (বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-২২, তারিখ-৩০-১২-২০২০ইং) দায়ের করেন।
মামলাটি দায়েরের পর এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহিতা ভাসমান মৎস ধরার জন্য লীজ এনে লীজের সকল শর্ত ভঙ্গ করে কৃষকদের মালিকানা পুকুর, খাল, নালা, বিল শুকিয়ে জোরপূর্বকভাবে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা বাধা আপত্তি করলে হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে কৃষকদের মালিকানা জায়গা দখলের চেষ্টা তদবির রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু প্রশাসন দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড কৃষকদের পক্ষলম্বন না করে রহস্যজনক কারনে সাব-লীজ গ্রহীতাকে উস্কানী দিচ্ছেন।
মামলাটি দায়েরের পর কয়েক গ্রামের মানুষ গত সোমবার এক বৈঠকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি হয়রানী বন্ধের আহবান জানান।