স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর রাস্তার নির্মাণ কাজের নারী শ্রমিকদের মজুরি না দিয়ে পাল্টা অমানুষিক নির্যাতন করেছে কাজের টিকাদার। অসহায় নারীরা কোন উপায়ান্ত না পেয়ে প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাত্রীযাপন করেছেন রাস্থায়। একপর্যায়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের রাত্রীকালিন টহল দল তাদের নির্যাতনের অবস্থা দেথে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, তারা প্রায় ২মাস ধরে বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর রাস্তায় শ্রমিকের কাজ করছেন। কিন্তু ঠিকাদার এ অসহায় নারী শ্রমিকদের মজুরীর টাকা দেব দিচ্ছি বলে ২ মাস সময় ক্ষেপন করতে থাকে। কিন্তু শ্রমিকদের ঘরে কোন খাবার নেই এমন কাকুতি মিনতি করার পরও কাজে নিয়োজিত ফিকাদোরের মন গলেনি। গতকাল শুক্রবার নারী শ্রমিকরা ঢাকার মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজ টিকাদারি প্রতিষ্টনের ঠিকাদার সুহেল আহমদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের লাটি পেটা করে গুরুত্বর জখম ও বিবশ্র করে থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে রাতের প্রচন্ড শীত অপেক্ষা করে বাগিচা বাজারের রাস্তার উপর বসে পড়ে। তখন এসআই দেবাশীষের নেতৃত্বে একদল টহল পুলিশ দাতের কথা শুনে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা থানায় অবস্থান করছিলেন।
ঠিকাদার সুহেল মিয়ার সাথে ০১৭১৪১৭৮৩৫৭ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করা হয়ে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম মুসা টিকাদার সুহেলের সাথে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের মুজুরী দেয়ার কথা জানিয়েছেন। অন্যতায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হবে বলে জানান।
বলা আবশ্যক যে, প্রায় গত ২ বছর ধরে বিশ্বনাথ জগন্নাথপুর রাস্তা ঠিকাদারের অবহেরার কারনে ৩ফুট/৪ফুট করে গর্ত হয়ে ছোট-বড় অনেক যানবাহন নষ্ট হয়েছে এবং প্রতিদিন এ রাস্তায় অনেক দূর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ টিকাদারি প্রতিষ্টান রড, সিমেন্ট, পাথর কম দিয়ে মাটি ভরে ডালাই দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজর দেয়া উচিৎ।