স্টাপরিপোটার : বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসার পর এস আই ফজলুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৩ মে) বিশ্বনাথ থানা থেকে প্রত্যাহার করে সিলেট পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়।পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বিশ্বনাথ থানা পুলিশে এখন বদলি্ আতংক বিরাজ করছে। এস আই ফজলু ডাবল মার্ডারের আসামি যুক্তরাজ্যা প্রাবাসি সাইফুলের কথিত ফ্রেন্ড ছিলেন।ফজলু থানা থেকে প্রত্যাহারে পূর্ব চাউলধনি হাওয়রের চৈতন নগর এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন।টাকা কামাই করতে সাইফুলের সাথে অন্ধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।বৃহস্পতিবার ডিউটি শেষে থানায় ফেরার আগে সাইফুলের বাড়িতে যান তিনি।এই সময় বাড়িতে কোন মানুষ ছিলা না । সুযোগে এস আই ফজলু সাইফুলের গাছের আাম পাড়তে থাকেন। একজন দারগা্র আম পারা দেখে গ্রামের কিছু লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখেন।আব্দুস শহিদ নামক একজন বেরসিক গ্রামবাসি আম পাড়া ঘটনাটি মোবাইলে বন্ধিয় করে ফেলেন এবং মূহুতের মধ্যে তা চতুর্থদিকে ছড়িয়ে পরে।আরও মজার বিষয় যে দয়াল হত্যা মামলার বাদী আহমদ আলী কে দিয়ে মেহদির পাতা -পাটা পুতাইলে পিসে থানায় নিয়ে যান।এলাকার মানুষ যখন ডাবল মার্ডারে শোকাহত , অত্যাচারিত তখন একজন দারগার আম পাড়া ঘটনা দেখে
হাসা হাসি করছে।গ্রামবাসি বলা বলি করছে সাইফুলের টাকার চেয়ে এখন আমের মজা বেশি।এ কথাটি এখন চাউলধনি হাওয়র পাড়ে মানুষের মুখে মুখে।আম ,মেহেদী নিয়ে খুশি মনে থানায় এসে খুবই দুঃখ পেলেন এস আই ফজলু। তিনি জানতে পারেন তার বিশ্বনাথ থানা থেকে বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে।একজন দারগার লোভ দেখে এলাকার অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।তারা বলেছেন ,দুই একজন লোভি পুলিশের কারণে পুলিশের ভাল লোকদের দুর্নাম হচ্ছে।
এস আই ফজলু চাউলধনি হাওয়রের একটি সাজানো চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালাম কে গ্রেফতার, দয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাইফুল সহ মূল আসামিদের অব্যাহতি,কাউন্টার মামলা নিয়ে কৃষকদের হয়রানি সহ সাইফুলের কথায় উঠ বস করতেন তিনি। সুমেল হত্যাকান্ডের পর পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সরজমিনে তদন্তে এসে থানা পুলিশের দায়িত্বের অবহেলা দেখে কঠোর ভাষায় ভৎসনা করেছিলেন।