স্টাফ রিপোর্টার : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিলেট ২আসনের (বিশ্বনাথ ওসমানীনগর) জাতীয় সংসদ সদস্য গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোকাব্বির খানের উপর হামলার ঘটনায় দেশে বিদেশে আলোচিত মামলার অবশেষে এজহার নামীয় ৫জনকে দিয়েই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। গত ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী (ওসি তদন্ত) এ চার্জশীট দাখিল (অভিযোগপত্র নং-১২৭, তারিখ ২০, ০৮, ২০২০ইং) করেন। চার্জশীটে অভিযুক্তরা হচ্ছেন, জানাইয়া মসুলা গ্রামের আব্বাস আলীর পত্র শামিম আহমদ, বিদায় সুলপানি গ্রামের রিয়াজ মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম সিরাজ মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়নের মিয়াজানের গাঁও (ছত্তিশ) গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর পুত্র দবির আহমদ, দশঘর ইউনিয়নের চাঁংভরাং গ্রামের আনজব আলীর পুত্র কামরুজ্জামান সেবুল ও জানাইয়া গ্রামের ইসমাঈল আলীর পুত্র জুনাব আলী। আইনশৃংখলা বিঘœকারি অপরাধ (দ্রæত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৯ সালের ৪/৫ ধারা মতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট এখনও অনুমোদিত হয়নি। এজহারের ৩০৭ ধারাটি চার্জশীট থেকে বাদ দেয়া হয়। এমনকি এজহারে কষ্টিপে মোড়ানো ককটেল সাদৃস্য কৌটা দিয়ে মাননীয় এমপির গাড়ি লক্ষ্য করিয়া ঢিল মারার ঘটনাটি এড়িয়ে যায় পুলিশ।
গত ১০ আগষ্ট সোমবার বিশ্বনাথ উপজেলা আইনশৃংখা কমিটির সভায় যোগদানের জন্য মোকাব্বির খান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার অফিসের সামনে পৌছা মাত্র এমপির গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১ আগষ্ট মঙ্গলবার এমপির এপিএস বিশ্বনাথ পুরান বাজারস্থ মৃত বিনোদ বিহারী দেবের পুত্র অসিত রঞ্জন দেব দ্রæত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গত ১১ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দবির আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর বিভিন্ন মিডিয়ায় আসামিপক্ষ ও এমপি মোকাব্বির খানের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করা হয়। ঢাকা ও বিশ্বনাথে এমপি মোকাব্বির খানের পক্ষে আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। অপর দিকে এই ঘটনাকে সাজানো ও মিথ্যা দাবি করে আসামিদের বিরুদ্ধে দায়েরী মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্বনাথে মানববন্ধন করা হয়। এ নিয়ে দেশে বিদেশে কঠোর আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এতে বিশ্বনাথ তথা সিলেটের মানসম্মাণ ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ঘটনার পর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ জড়িত নয় মর্মে বলা হলেও চার্জশীটে শামিম আহমদকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বণীক সমিতির সভাপতি, সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, দবির আহমদকে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, কামরুজ্জামান সেবুলকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং জুনাব আলীকে বিশ্বনাথ যুবলীগের সদস্য ও উত্তর পার অটো রিক্সা সিএনজি ষ্ট্যান্ডের সভাপতি বলে উল্লেখ করা হয়।
এবিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বার বার বলছেন কারো ব্যক্তিগত অপরাদের দায় সংগঠন নেবেনা। এ ঘটনার বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাথে পরামর্শ করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।