বিশ্বনাথে এক মাসে ৪বার বন্যা : মরার উপর খাড়ার ঘাঁ

বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে কয়েক দফা বন্যা পর গত ৩দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে ফের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল। শ্রমজীবি ব্যবসায়িরা মুষলধারে বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এলাকায় সবচেয়ে বেশি গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। গত ৩দফা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকদফা বন্যায় আক্রমণ করল।

বিশ্বনাথে বন্যার মুল কারন হচ্ছে, অতি বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও সুরমা নদীর পানি। সুরমা নদীটি উপজেলার উত্তর সীমান্ত দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে। সুরমার পানি বৃদ্ধি পেলেই সর্ব প্রথম খাজাঞ্চি ও লামাকাজি ইউনিয়নের ৮০ভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। সিলেট ছাতক রেল লাইনটি সুরমা নদীর তীরে বেড়ি বাধেরমত কাজ করছিল। কিন্তু ২২সালের বন্যায় বিভিন্ন স্থানে কয়েক কিলোমিটার রেল লাইন প্রায় ১০ফুট পর্যন্ত পানির তোড়ে গভীর গর্ত হয়ে রেললাইনটি ভেসে যাওয়ায় সুরমা নদীতে পানি আসলেই বিশ্বনাথে এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। বাসিয়া ও খাজাঞ্চি নদী দুটির তীর দখল করায় খালের মত হয়ে পানির ধারণ ক্ষমতা একেবারে কমে গেছে। এর মধ্যে কিছু সময় বৃষ্টিপাত হলে রাস্তা-ঘাট, স্কুল কলেজ মসজিদ তলিয়ে যায়। কিন্তু নদীর পানি করলেও খাল নালা ভরাট থাকায় পানি বের হতে পারছেনা। ফলে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে।

উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের কাচা-পাকা রাস্তাঘাটের গর্তের সৃষ্টি ও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ছোটখাট যানবাহন প্রতিদিন দুর্ঘটনার পতিত হচ্ছে। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ঘোষনা করা হলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। অভাবি মানুষের অভাব বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এখন জীবন বাঁচাতে ঋণ কর্যধারের উপর নির্ভরশীল। সুযোগে অনেক দাদন ব্যবসায়িরা লাভবান হচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে একাধিক বন্যা, এ উপজেলাবাসির নিকট এখন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *