নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমদ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারায় আম-ছালা দুটিই হারিয়েছেন। এনিয়ে মানুষের মধ্যে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি অনেক টাকা খরচ করে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু লোভ সামলাতে না পেরে হঠাৎ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যার প্রার্থী হয়ে যান। নির্বাচনে দাঁড়ানো জন্য অনেকেই তাকে বুদ্ধি-পরামর্শ ও সহায়তার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের আগে ও পরে তার সাথে এখন আর কেউ নেই। গত ৮মের নির্বাচনে খাজাঞ্চি ইউনিয়নে একটি ভোট কেন্দ্রে একদল অস্ত্রধারি দিয়ে টোবল কাস্ট করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এনিয়ে প্রশাসনসহ সবত্র আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার নাম সরাসরি উল্লেখ করা না হলেও বিভিন্ন প্রার্থীর অভিযোগ তারে দিকে। নির্বাচনের পর তিনি একজন আইজীবি হিসেবে আইনের লড়াই করে নির্বাচন স্থগীতে ভোটারদের আশ্বাস দিয়ে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু এতে কোন সুবিধা করতে পারেন নি। নির্বাচনের পরদিন থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। বিভিন্ন লোক তার মোবাইল নম্বরে ফোন করলে কেউ রিসিভ করেনি। তার একজন ঘনিষ্ট লোক জানিয়েছেন। তিনি সিলেটের বাসায় অবস্থান করছেন এবং তার হার্টের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বনাথ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গত ৩যুগে তার কোন অবদান না থাকলেও ২০১৫সালের সম্মেলনের পর আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদটি তিনি পেতে সক্ষম হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর গিয়াস উদ্দিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবত্র আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।